সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া অবরুদ্ধ ১ পরিবার সলঙ্গায় চুরির ভাগের টাকার জন্য হোটেল কর্মচারী আরাফাত খুন, ২ জন গ্রেফতার আ.লীগের দোসর মামুনুর রশীদ এখন গাছা থানা জাসাসের আহ্বায়ক উল্লাপাড়ায় রাফান মটরসের কমিউনিটি মিট অনুষ্ঠিত কোনাবাড়ীতে মোবাইল চোর সন্দেহে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যা লালমনিরহাটে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির ফাইল গায়েবে জড়িতরা আজও অধরা! সলঙ্গায় আরাফাত নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার পুলিশের সঙ্গে জনগণের সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা পুলিশি কাজে সহযোগিতা করবে,ওসি আব্দুল হালিম ভাঙ্গুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে যুবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা  মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা সভা

বড় সতীনকে হারালেন ছোট সতীন

রিপোর্টারের নাম : / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২

নেত্রকোনায় ১নং ওয়ার্ডে (দুর্গাপুর) সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দুই সতীন। তবে ছোট সতীনের কাছে হেরে গেছেন বড় সতীন। ছোট সতীন সুরমী আক্তার সুমী অটোরিকশা প্রতীকে ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং বড় সতীন আনোয়ারা বেগম তালা প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৪ ভোট। যা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সারাদেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টায় শেষ হয়েছে।

একই পদে আরও দুজন পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জুয়েল মিয়া টিউবওয়েল প্রতীকে ৪৪ ভোট ও আব্দুল করিম হাতি প্রতীকে মাত্র ২ ভোট পেয়েছেন।

বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করেন ১নং ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শিমু দাস।

জানা গেছে, দুই সতীন আনোয়ারা বেগম ও সুরমী আক্তার সুমীর স্বামী দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলাউদ্দিন আলাল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পৌর মেয়র আলাউদ্দিন আলালের বন্ধু ধনেশ পত্রনবীশ জানান, ছোট স্ত্রী সুরমী আক্তার সুমির প্রতি আলালের পূর্ণ সমর্থন ছিল। কিন্তু বড় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে নির্বাচন না করতে অনেকবার বললেও তিনি স্বামীর কথা মানেননি।

বিজয়ী সুরমী আক্তার সুমি বলেন, পারিবারিক সিদ্ধান্তেই আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আমার স্বামী অনেক আগে থেকেই নির্বাচনের জন্য আমার পক্ষে কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু আলালের সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আনোয়ারা বেগমকে প্রার্থী করেছিল।

তিনি আরও বলেন, আমি অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে। ভোটাররাও আমার সম্পর্কে এবং আলালের সিদ্ধান্তের কথা জানতেন। সকলেই আমার জন্য কাজ করছেন।সবার সহযোগিতার কারণেই আমি বিজয়ী হতে পেরেছি।

পরাজিত আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার কিছু কর্মী-সমর্থক আছে যারা আমাকে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দেখতে চেয়েছিল। তাদের সমর্থনে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমার স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। আমি আলাদা থাকি। ওই মহিলা যা বলেন তিনি তাই করেন। অথচ আমিও রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। কিন্তু আমি যখনই কোনো পদ-পদবিতে যেতে চাইতাম তখনই অপর পক্ষ থেকে বাধা সৃষ্টি করা হতো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর