মিথ্যা,বানোয়াট সংবাদ প্রকাশে বেনাপোলে টাক কামালের বিরুদ্ধে “মানব বন্ধন”
মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: মিথ্যা,বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমুলক সংবাদ প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতীক চেকপোষ্ট বেনাপোলে এলাকাবাসী এবং দুরপাল্লার বাস পরিবহণ ব্যবসায়ীদের “মানব বন্ধন” কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর/২০২৪ ইং তারিখ বেনাপোলে পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে ষড়যন্ত্রমুলক,মিথ্যা,বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদে “মানববন্ধন” করে তারা। টাক কামালের “কালো হাত ভেঙ্গে দাও,পুড়িয়ে দাও” বলে শ্লোগান দিতে থাকে তারা।
চেকপোষ্ট ব্যবসায়ীদের বাঁচতে দিন,পরিবহণ শ্রমিকদের বাঁচতে দিন,চেকপোষ্ট লেবার শ্রমিকদের বাঁচতে দিন এমন সব ব্যানার নিয়ে বেনাপোল চেকপোষ্টে প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে এক লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে আন্দোলন কারীরা টাক কামালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতে থাকে।
শুক্রবার(৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোষ্টে অনুষ্ঠিত ঐ মানববন্ধনে টাক কামালের সমস্ত অপকৃর্তি তুলে ধরে বিক্ষোভকারী শ্রমিক এবং এলাকাবাসীরা।
টাক কামালের ছবি বেষ্টিত ব্যানারে লেখা গুলি নিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন,টাক কামাল আ.লীগের একজন বড়মাপের নেতা,অবৈধ উপার্জনের টাকায় আবাসিক হোটেল নির্মানকারী,চন্দনকাঠ চোরাকারবারী,চাঁদাবাজ সহ নানা অপকৃর্তির সাথে জড়িত সে।
এ ছাড়াও আ.লীগ সরকারের আমলে বেনাপোল চেকপোষ্টে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং নিজের আধিপত্য বিস্তারে হয়রানিমূলক,মিথ্যা,বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে এলাকার মানুষদেরকে হামলা-মামলায় ফেলানোয় তার একমাত্র কাজ ছিল। এখন সময় এসেছে তাকে এ সকল অপকর্মের সাজা প্রদান করার,আমরা তার শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে,আজ শুক্রবার বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সেখানে তিনি জুলাই-আগষ্ট/২০২৪ গনঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ বীর আব্দুল্লাহ’র কবর জিয়ারত করেন এবং তার পিতা-মাতা ও পরিবারবর্গের খোঁজ-খবর নেন।
এরপর তিনি দেশের বৃহৎতম স্থলবন্দর বেনাপোলে পণ্যজট কমাতে ও বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে গত ১৪ নভেম্বর/২০২৪ ইং তারিখ নিজের উদ্বোধন করা নির্মিত ‘কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল’ পূণপরিদর্শন করেন।
বেনাপোল চেকপোষ্টে টাক কামালের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কথা গুলো মন দিয়ে শোনেন। মিথ্যা,বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারকারী দেশের শত্রু,মানুষের শত্রু।
সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ,লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে বিক্ষোভকারীদের জানিয়ে দেন। উপদেষ্টার এমন স্বস্তির জবাবে বিক্ষোভবারী পরিবহন ব্যবসায়ী ও এলাকার মানুষ “মানববন্ধন” প্রত্যাহার করে।
এর আগে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- “ভারতের প্রপাগণ্ডাতে আমাদের ক্ষতি নেই, আমরা ঐতিহাসিক ভাবে এক আছি। আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা কোন অংশে কম নয়, সবই আছে। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য বেশি সংখ্যক লোক ভারতে যায়, এ খাত থেকে অর্থনৈতিক ভাবে ভারত বিশাল লাভবান হয়। বাংলাদেশীদের ভিসা না দিলে যাবেনা”।
তিনি আরও বলেন “আমাদের মধ্যে মেজরিটি মাইনরিটি কোন বিভাজন নেই। এখানে সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করছে, কোন উষ্কানিতে কান না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন আমরা ঐতিহাসিক ভাবে এক আছি”।
সন্মানিত উপদেষ্টার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন-যশোর জেলা প্রশাসক মো.আজাহারুল ইসলাম,যশোর পুলিশ সুপার মো.জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ,৪৯ ব্যাটেলিয়ন(বিজিবি)’র যশোর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, এসপিসি, পিএসসি,বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক(ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার,শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান,সহকারী কমিশনার(ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন,পুলিশের এ এস পি(নাভারণ সার্কেল,শার্শা,যশোন) নিশাত আল নাহিয়ান,শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.আমির আব্বাস,বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.রাসেল মিয়া,বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন(ওসি) ইনতিয়াজ আহম্মেদ।ডিজিএফআই,এনএসআই সহ ডিবি পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ ছাড়াও,বিএনপি এবং জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-নেতৃবৃন্দ,বেনাপোল চেকপোষ্ট বাজার কমাটি’র সভাপতি-মো.আজিজুল হক,সাধারণ সম্পাদক-জসিম উদ্দিন,সিনিয়র।