বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আব্দুল আলীমের মরদেহ দীর্ঘ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন অতীতে ঘরে ঘরে চাকরি দেবার নাম করে হাহাকার দিয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির নেতা রবিউল ইসলাম রবি ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় সেচ্ছাসেবকদলের শীতবস্ত্র বিতরণ গাজীপুরে ৯ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে আদম ব্যবসায়ী শাহীন ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা সৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসী! কুড়িগ্রামে এম আর বি ইকো ব্রিকসকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা শার্শা সরকারি টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ২ দিনব্যাপি বিজ্ঞান মেলা

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত বরণ

আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (মঙ্গলবার) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তাবিত ক্যাম্পাসের রবি প্রাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে বসন্ত বরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন।উপাচার্য মহোদয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কথা স্মরণ করেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন, ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট যাঁরা শহীদ হয়েছেন এবং বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন তাঁদের কারণেই আমরা বাঙালি ঐতিহ্যের লালন করতে সক্ষম হয়েছি, বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করার সুযোগ পেয়েছি এবং এই সুযোগের কারণেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ঋতু বৈচিত্র্যের এদেশের অতি সমৃদ্ধ একটি পার্বণ বসন্ত উৎসব। এই দেশে একটি নতুন ঋতুর আবাহন এবং তার যে উৎসব সেটি আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ, এর মধ্যে বসন্ত এবং বসন্ত বরণ একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী উৎসব। কখনো কখনো বসন্তের আবেদন মানুষের হৃদয়ে যে জাগরণ তৈরি করে তা দেখে নতুন সৃষ্টির আনন্দ এবং প্রাণের যে স্পন্দন–সবকিছু বিবেচনা করলে বসন্ত ঋতুকে সর্বশ্রেষ্ঠ একটি ঋতু হিসেবে মনে হয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের বসন্তের যে উৎসব এবং যে বন্দনা সেখান থেকে ক্রমেই আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। এই বসন্তের অনুষ্ঠানটি পাশ্চাত্য ঢঙের এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির উপকরণগুলো দিয়ে আমরা করছি যা আমাদের ব্যথিত ও শংকিত করে। ঠিক এরকম সময়েই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অভিযাত্রাটি এখানে শুরু হতে দেখলাম। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পড়াশোনার ধারা ও সাংস্কৃতিক চরিত্র তা নিশ্চিত করে বলে দেয় যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি সংস্কৃতির ধারক। তিনি মনে করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাঙালি সংস্কৃতির এই ধারাটিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দেবে এবং সেটি ছিল আমাদের প্রত্যয় এবং এই প্রত্যয় নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ সেই ঐতিহাসিক দায়িত্বটি পালন করছে, এ আয়োজনটি একটি অভাবনীয় আয়োজন যা আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য যাঁরা ত্যাগ স্বীকার করেছেন যাঁরা সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। উপাচার্য মহোদয়ের সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতার চরণ উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’। আজকে রবি প্রাঙ্গণে আমরা বসন্তের দিনে দেখতে পাই এখানে অসংখ্য মানব পুষ্পের সমাহার ঘটেছে, যা আমাকে উজ্জীবিত ও আবেগ প্রবণ করেছে এবং সামনের দিকে যাবার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, বসন্ত সকল সময়ই কিন্তু আনন্দের, যা উৎসবের পরিবর্তন সূচিত করতে পারে এবং নতুন ধারার প্রবর্তন করতে পারে সুতরাং এই উৎসবের আনন্দেই আমরা জড়তাকে অতিক্রম করতে চাই এবং উদাসীনতাকে পরিহার করতে চাই এবং আমরা আনন্দ নিয়ে সামনে পথ চলতে চাই।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ সোহরাব আলী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর