রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এরান্দহ পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু শ্রমিকের আত্মহত্যা কারখানা কর্তৃপক্ষের শোক দুই কর্মকর্তা অব্যাহতি ডা. শফিকুর রহমান যারা দেশকে ভালবাসে তারা কখনও দেশ ছেড়ে পালায় না! যশোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে কলেজ ছাত্র আটক ভাঙ্গুড়ায় ৯ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার উল্লাপাড়ায় ট্রাক ও মাইক্রোবাস সংর্ঘষে নিহত ২ জন আহত ১ চরবাসীর দুঃখ ঘোচাতে অনবদ্য ছুটে চলছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদ ভাংচুরের ঘটনায় আশুলিয়ায় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন লালমনিরহাট জজ আদালতে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ কালিয়াকৈরে যুবককে আটকে রেখে নির্যাতন,২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

লালমনিরহাটে তিস্তাপাড়ে মাইকিং সতর্কবার্তা জারি!

রিপোর্টারের নাম : / ১৩৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট : তিস্তা নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতে। সেই ভারতের সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় উজানের ঢেউয়ে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা জারি করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যা।

তবে বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ লালমনিরহাট অংশে ভয়াবহ পানির চাপ হানা দিতে পারে বলে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি। জানা গেছে, ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর নীলফামারী জেলার কালীগঞ্জ সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ঐতিহাসিক তিস্তা নদী। যা লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী বন্দর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিশেছে। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১৫ কিলোমিটার হলেও বাংলাদেশ অংশে রয়েছে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার। গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করে উজানের প্রতিবেশী দেশ ভারত সরকার একতরফা তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণ করায় বর্ষা শেষেই জেগে ওঠে চর। বর্ষাকালে বন্যা আর নদী ভাঙনের মুখে পড়ে তিস্তাপাড়ের মানুষ। ভাঙন ও প্রবল স্রোতে ভেসে যায় ফসলি জমি বসতভিটাসহ স্থাপনা। দিশেহারা হয়ে পড়ে নদীপাড়ের মানুষ।

তিস্তা নদীর উজানে ভারতের সিকিমে একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তা নদীতে উজানের ঢেউ বেড়েছে। ফলে সিমিকের ভিটিতে থাকা অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে। এ ভয়াবহ বন্যার চাপ বাংলাদেশ অংশেও পড়তে পারে। তাই বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদীর তীরবর্তী জনপদকে সরকারিভাবে সতর্কবার্তা দিয়ে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিস্তা নদী লালমনিরহাট জেলার দক্ষিণ পাশ দিয়ে পুরো জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা পাড়ে বন্যা দেখা দিলে তারা ৫টি উপজেলায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাতীবান্ধা উপজেলা। তিস্তা পাড়ে বন্যা হলে প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা প্লাবিত হয়। শেষ হয় সদর উপজেলা হয়ে। মূলত ৫টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তিস্তা নদীর বন্যায়।

আসন্ন ভয়াবহ বন্যা থেকে নিরাপদ স্থানে সতর্ক থাকতে জনগণকে সতর্ক করছে জেলা প্রশাসন। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব প্রচার মাধ্যমে তা প্রচার করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিস্তা ব্যারেজে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দুপুরের পরেই তিস্তা পাড়ে বন্যা দেখা দিতে পারে। তবে কি পরিমাণ পানির চাপ বাড়তে পারে তা বলা যাচ্ছে না। তবে নদীপাড়ের মানুষদের সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, দুপুরের পরে ব্যারেজ এলাকায় তিস্তা নদীর পানি ব্যাপক হারে বাড়তে পারে। বন্যার আশঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উজানে ভারতের সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এ সতর্ক বার্তা বলেও জানান তিনি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, আসন্ন ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নদীপাড়ে মাইকিং করা হচ্ছে, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে রাখা হয়েছে। এ বন্যা মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর