সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতাদের পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন বাল্যবিয়ের বলি স্কুল ছাত্রী আশামনি আইনি লড়াইয়ের নেই বিয়ের কাবিন! সলঙ্গায় ব্যবসায়ী পাওনা টাকা চাওয়ায় ভুক্তভোগী নামে আদালতে মামলা শার্শায় সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড এর মনুমেন্ট উদ্বোধন করলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কুটির শিল্প মেলার আড়ালে চলতো জুয়া, মধ্য রাতে বন্ধ করে দিলো পুলিশ মে দিবসে একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সেবা প্রদান কাজিপুরে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা  উল্লাপাড়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত গাজীপুরস্থ বরিশাল একতা ক্লাবের আত্ম প্রকাশ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে বৈরী আবহাওয়া-ক্ষতির সঙ্কায় আধপাকা ধান কাটছেন কৃষকরা!

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট: / ১৩০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৩

লালমনিরহাটে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ক্ষতি হওয়ার শঙ্কায় আগাম আধা-পাকা বোরো ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে জেলার কিছু কিছু এলাকায় হালকা ধরনের শিলা বৃষ্টি হলে ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয় কৃষকের মধ্যে। যে কারণে সময়ের আগেই তারা ধান কেটে ঘরে তুলছেন।

জানা গেছে, জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে লালমনিরহাটের কৃষকদের উৎপাদিত বোরো ধান সারা দেশে চলে যায়।
প্রথম দিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর বোরো ধানের চাষাবাদ ও ফলন বেড়েছে। সার ও সেচ খরচ বাড়ায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে কয়েকগুণ।

জেলার চাষিদের উৎপাদিত বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। সপ্তাহ খানেক পরে পুরোদমে ধান মাড়াই শুরু হতে পারে এ জেলায়। এরই মধ্যে রোববার ভোরে বাতাসসহ আকাশ মেঘে ছেয়ে যায়। মুশল ধারায় বৃষ্টি হয় অন্তত ত্রিশ মিনিট। জেলার কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে হালকা শিলাও ঝরেছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, শিলার কারণে তাদের আধপাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। পুরোপুরি ক্ষতি যাতে না হয়, সে জন্য আগেই তারা ধান কেটে ফেলছেন।

কৃষকরা জানান, প্রতি বছর বৈশাখ শুরু আগে বা প্রথম সপ্তাহে কালবৈশাখীর আঘাত আসে। এ বছর এখন পর্যন্ত হয়নি। তবে হতে পারে। এ মুহূর্তে শিলাবৃষ্টি বা কালবৈশাখী আঘাত হানলে সব ধান নষ্ট হবে। উৎপাদন খরচ তো দুরের কথা পরিবারের খাদ্য যোগানো কষ্টকর হবে। যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, এখন ধান কেটে নিলে উৎপাদন সামান্য কমতে পারে। কিন্তু শিলাবৃষ্টি বা কালবৈশাখী হলে ধান ঘরে তোলা যাবে না।

আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত বড় ধরনে কোনো বিপদ আসেনি। কয়েকদিন ধরে আকাশের অবস্থাও ভালো না। বড় বিপদ আসার আগেই আধপাকা হলেও ধান ঘরে তুলছি। এতে সামান্য উৎপাদন কম হবে। তবুও চলবে। কিন্তু শিলাবৃষ্টি বা কালবৈশাখী ঝড় হলে তো একটি ধানও পাওয়া যাবে না।
সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ঢেপঢেপি এলাকার আবুল হোসেন বলেন, রোববার ভোরে আকাশ দেখে মনে হচ্ছিল কষ্ট করে উৎপাদিত ধানগুলো নষ্ট হবে। আর ৮/১০ দিন গেলে এক বিঘা জমির ধান কাটবো ভাবছিলাম। এখন চিন্তা করছি কী করবো।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, জেলায় ৪৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। যেহেতু বৈরী আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তাই জেলার চাষিদের যেসব ক্ষেতে ৮০ শতাংশ ধান পাকার উপযোগী হয়েছে। সেসব ক্ষেতের ধান বিলম্ব না করে কাটতে বলা হয়েছে চাষিদের। এজন্য আগে থেকেই চাষিদের লিফলেট দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর