শার্শার থানার সাবেক ওসিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি:-শার্শার টেংরালির মহির সরদারকে যশোর জেল গেট থেকে আটক করে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও মামলা দেয়ার ঘটনায় শার্শা থানার সাবেক ওসিসহ তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার মহির সরদারের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, শার্শা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, এসআই শেখ সুজাত আলী ও এসআই মামুনুর রশিদ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালে নিয়মিত টহলের সময় আসামি এসআই শেখ সুজাত আলী ও এসআই মামুনুর রশিদ মোটরসাইকেল থামিয়ে মিহির আলীর কাগজপত্র চেক করেন। এসময় মিহির আলীর কাছে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ঘুষ দাবি করেছিলেন। মিহির আলী ঘুষের টাকা না দিয়ে চলে যার। এসময় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
এরমধ্যে মিহির আলী একটি মামলায় কারাগারে যান। ২০১৭ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হলে আসামিরা সাদা পোষাকে তাকে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অপরিচিত স্থানে নিয়ে যান। এদিন মিহির আলীকে খুঁজে না পেয়ে স্বজনেরা কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। পরদিন আসমিরা মিহির আলীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্ত্রী নাসরিন সুলতানার কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করেন। মিহির আলীর জীবন রক্ষার্থে তার স্ত্রী ধার-দেনা ও জমি বন্দক রেখে পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করলে আসামিরা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার বাড়ি এসে টাকা নিয়ে যান। অন্য পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় পরদিন মিহির আলীকে শারীরিক নির্যাতন করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং দুটি পেন্ডিং মামলায় আদালতে চালান করেন।