শাহজাদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দূর্ণীতির বিরুদ্ধে ১০ ইউপি সদস্যের অভিযোগ অনাস্থা চেয়েছেন ১০ ইউপি সদস্য
নুপুর কুমার রায় শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নানা অনিয়ম-দূর্ণীতির অভিযোগে জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হাজী সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ ও অনাস্থা জানিয়েছেন পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য।
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রসাশক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এ দূর্ণীতির অভিযোগে তিনি ইতোমধ্যে জেলও খেটেছেন। জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান টি,আর,কাবিখা, সাধারণ/বিশেষ বরাদ্দের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ টাকা লুটপাট করেছেন। এছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী নয় এমন ব্যক্তিকে গর্ভবতী দেখিয়ে মাতৃকালীন ভাতা আত্মসাত করেছেন। এ ইউনিয়নের ২০১৮-২০২০ ইং অর্থ বছরে ৮৯টি মাতৃকালীন ভাতা কার্ড বরাদ্দ পাওয়া যায়। এরমধ্যে ৩১ টির অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও ৪৮টি ভুয়া ধরা পড়ে। ২০১৮-২০১৯ ইং অর্থ বছরের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের ৩১ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের সিরাজগঞ্জ-পাবনা সমন্বিত অফিসের উপ-পরিচালক বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনি ২৫দিন জেলও খেটেছেন। বর্তমানে তিনি এ মামলায় জামিনে আছেন।
অন্যদিকে, জালালপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৬০টি ঘর ও গুচ্ছ গ্রামের ১৪০টি ঘর যমুনার ভাঙ্গণের কবলে পড়লে তা ভেঙ্গে নিজ বাড়িতে স্তুপ করে রাখে। এরপর প্রসাশনকে না জানিয়ে বিনা টেন্ডারে তা গোপনে বিক্রি করে দিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামীলীগের সদস্য সুজাবুল আলম ও জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাফুল ইসলাম স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রালয় বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও করে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সচিব বিষয়টি তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসককে দায়ীত্ব দেন। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবার শাহজাদপুরের ইউএনওকে দায়ীত্ব দেন। কিন্ত এ তদন্ত এখনও আলোর মুখে দেখেনি।
জানতে চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। ঈদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাউলের থেকে আমার কাছে ৫০ হাজার করে টাকা চেয়েছিল দেইনি তাই এরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন বলেন, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।