সলঙ্গায় চাঁদা চাওয়ায় যুবদল ও কৃষক দলের ৩ নেতাকে গণপিটুনি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পুকুর খননকারীর কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়া,চাঁদা না দেওয়া এক্সকেভেটর (বেকু) মেশিন ভাঙচুর করে যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মী। এসময় স্থানীয়রা ৩ নেতাকে আটকে রেখে গণপিটুনি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুলিশে সোপর্দ করেন।এবিষয়ে সলঙ্গা থানা চাঁদাবাজীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের নইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন,সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন,সদস্য রোকনুজ্জামান (খোকন) ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোবহান আলী।
স্থানীয় শহিদুল ইসলাম ও আরব আলী বলেন, বিকেলে ৩/৪টি মোটরসাইকেলে ৮/৯ জন নইপাড়ায় এসে গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর খনন কাজ চলাকালে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই সময় এলাকার বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষরা তাদের তিনজনকে আটকে রেখে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন। বাকিরা পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা তাদের ৩/৪ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ওই যুবদল ও কৃষক দলের নেতাদের আটকে রেখে মারধর করতে দেখা গেছে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, সংবাদ পেয়ে আটকে রাখা নেতাদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার বলেন, আমি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থান করছি। চাঁদা দারি ও মারধরের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা নেই। জানার পর বলতে পারবো।