সিরাজগঞ্জে ব্যস্ত সড়কে সহস্রাধিক মরা গাছ প্রাণহানির কারণ হতে পারে

কাজীপুর সিরাজগঞ্জ: যমুনা নদীর ডান তীরে উত্তর-দক্ষিণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম পাকা সড়কটি সিরাজগঞ্জ জেলার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক হিসেবে বিবেচিত। প্রতিদিন এই সড়কে বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারী মিলিয়ে লক্ষাধিক যাত্রী চলাচল করে থাকেন।
এ ছাড়াও নদী ভাঙ্গন জনিত কারনে হাজার হাজার অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের ঘনবসতি বাঁধের দু’পাশে রয়েছে। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় বনায়ন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি জেলা হেডকোয়ার্টার হতে উত্তরে কাজিপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে বড় বড় বিভিন্ন গাছ মারা যায়, মৃত সহস্রাধিক গাছ স্বস্থানে ঝূঁকিপূর্ণভাবে দণ্ডায়মান রয়েছে। যা যখন তখন পথচারী বা পরিবহনের উপর ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে, চলতি বৃষ্টি মৌসুমে এ ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরকারি সড়কের গাছ কাটা সংক্রান্ত দাপ্তরিক জটিলতা উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস বন বিভাগের কর্মকর্তার।
সরেজমিনে সসদর উপজেলার খোকসাবাড়ি গ্ৰামে বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশে অন্তত কয়েকশত মরা গাছ দেখা যায়, যায়, অধিকাংশই আকাশমনি ও শিশু প্রজাতির গাছ বলে জানান স্থানীয়রা। এ সময় খোকসাবাড়ি গ্ৰামের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মরা গাছগুলো স্বস্থানে বিপদজনকভাবে দাঁড়িয়ে আছে, ছোট খাট দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে, হরিণাহাটা গ্ৰামের কলেজ শিক্ষার্থী আবু তালেব বলেন, এই পথে ঝুঁকি নিয়ে কলেজে যাই, সেদিন একটুর জন্য বেঁচে গেছি।
খলিশাকুড়া গ্ৰামের আঃ কাদের (৫৫) জানান, বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে, বৃষ্টিতে মরা গাছ ভিজে থাকে, তাই মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে গেছে। মৌখিকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা বন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা রিজিয়া পারভীন বলেন, যদি সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির গাছ হয় তাহলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় উপকারভোগীদের কমিটি রয়েছে, তাদের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।