স্মৃতির নৌকায় ভেসে মোহনপুর কে. এম ইনস্টিটিউশনের ৯৭ ব্যাচের পুনর্মিলনী ভ্রমণ
আল-আমিন,উল্লাপাড়া :
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মোহনপুর কে. এম ইনস্টিটিউশন। এখানকার অসংখ্য শিক্ষার্থী আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছেন। তবে শিক্ষাজীবনের সেই দিনগুলোর স্মৃতি এখনও তাজা। তাই প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যখন একত্রিত হন, তখন সেটি যেন হয়ে ওঠে স্মৃতির মেলা।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির এসএসসি ৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আয়োজন করে এক আনন্দঘন নৌকা ভ্রমণের। বহু বছর পর পুরনো বন্ধুদের দেখা, আড্ডা, গান আর হাসি–ঠাট্টায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো ভ্রমণ।
১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টায় দহুকুলা ঘাট থেকে নৌকা যাত্রায় দিনব্যাপী আয়োজনে অংশ নেন ৯৭ ব্যাচের অসংখ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী। কেউ সন্তানকে নিয়ে, কেউ আবার বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়ে যোগ দেন এ আনন্দযাত্রায়। সাজানো নৌকায় নদীর বুকে ছিল হাসি আনন্দে ভরা মুহূর্ত। গান-বাজনা, নাচ আর নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় জমে ওঠে এক রঙিন উৎসব।
আয়োজকরা জানান, দীর্ঘদিন পর প্রিয় সহপাঠীদের একত্রিত দেখে সবার মনে দারুণ আবেগ কাজ করেছে। একে অপরের খোঁজখবর নেওয়া, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা সব মিলিয়ে এই ভ্রমণ হয়ে ওঠে অবিস্মরণীয়। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের মিলনমেলা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অনেকেই বলেন, ছোট বেলাতেই নিজের জন্য কিছু করতে পারিনি আজ অবধি নিজেকে দেওয়ার মতো একটাও দিন কেটে নেই। তাই, আজ আমি সব ব্যস্ততা সরিয়ে নির্দিষ্টভাবে নিজের আত্মা ও মনের জন্য এক দিন বরাদ্দ করেছি। হাজার কাজের মাঝে ভেসে যাওয়া অনুভূতিগুলোকে শ্রব্য করা, নিঃশব্দে নিজের সাথে বসে থাকা, সে দিনের মুহূর্তগুলোকে আমি আজ মান্য করছি। এই একদিন যেন এক ধাপ প্রত্যাবর্তন নিজের জন্য খেয়াল রাখা, নিশ্বাস ভরা, এবং নিজেকে পুনরায় খোঁজার চেষ্টা।
জীবনের ব্যস্ততায় পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ কমে যায়। কিন্তু এমন আয়োজন তাদের আবারও কাছাকাছি নিয়ে আসে। এই সম্পর্ক কেবল আনন্দের নয়, বরং পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর প্রেরণাও যোগায়।
দিনশেষে সূর্যাস্তের আলোয় নদীর বুকে যখন নৌকা ফিরছিল, তখন সবার চোখেমুখে ছিল তৃপ্তির হাসি আর মনে লালিত অগণিত স্মৃতি।
আয়োজনে ছিলেন এসএসসি ৯৭ ব্যাচ, মোহনপুর কে. এম ইনস্টিটিউশন, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ।








