শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা এখনো গাজীপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারজিস আলম গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গুলি চালাল দুর্বৃত্তরা, ছাত্র আন্দোলনের কর্মী আহত গাজীপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা ভাঙ্গুড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু লালমনিরহাটে অস্ত্রসহ যুবদলের দুই নেতা আটক ভাঙ্গুড়ায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করায় ইন্সট্রাকটরকে মারধোর ঝিকরগাছা গদখালী ফেব্রুয়ারির ৩দিবসে শতকোটি টাকা আয়ের আশা চাষীদের কোনাবাড়ীতে আরও এক ছিনতাই কারী গ্রেফতার প্রতিটি সফল আন্দোলনের পেছনে ছাত্রছাত্রীদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল,এম মঞ্জুরুল করিম রনি বশেমুরকৃবি’তে আনন্দ-উৎফুল্লে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

২০৫০ সালে ৭ কোটি কর্মসংস্থান হবে : এডিবি

রিপোর্টারের নাম : / ৭০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩

অর্থনৈতিক করিডোরের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, এই সুবিধা কাজে লাগানো গেলে ২০৫০ সালে বাংলাদেশে ৭ কোটি ১৮ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা বাড়বে ২৮৬ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার অংকে ৩১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

‘বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডোর ডেভেলপমেন্ট হাইলাইটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সন্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যদি করিডোর সুবিধা ব্যবহার করা না যায়, তা হলে ২০৫০ সালে কর্মসংস্থান হবে ৩ কোটি ১১ লাখ। আর এই সুবিধা ব্যবহার করা গেলে হবে ৭ কোটি ১৮ লাখ কমংস্থান। এ ছাড়া ২০২৫ সালে সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে হবে ১ কোটি ৩৪ লাখ, ব্যবহার করা গেলে ১ কোটি ৫৭ লাখ। ২০৩০ সালে সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে ১ কোটি ৭০ লাখ, আর ব্যবহার করা গেলে হবে ২ কোটি ৩৪ লাখ কর্মসংস্থন। ২০৩৫ সালে সুবিধা কাজে না লাগানো গেলে ২ কোটি ১০ লাখ, সুবিধা কাজে লাগালে হবে ৩ কোটি ৪৭ লাখ কর্মসংস্থান। এ ছাড়া ২০৪০ সালে কর্মস্থান হবে ২ কোটি ৪৮ লাখ। তবে করিডোর সুবিধা কাজে লাগানো গেলে হবে ৪ কোটি ৬২ লাখ কর্মসংস্থান।

এতে আরও বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক করিডোরের তিনটি পরিপূরক উপাদান রয়েছে- একটি বাণিজ্য

ও পরিবহন করিডোর উৎপাদন ক্লাস্টার, যা অভ্যন্তরীণ বাজারে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উভয়ই ব্যবহারের জন্য পণ্য উৎপাদন করে। এ ছাড়া শহুরে কেন্দ্রগুলো উৎপাদনকেন্দ্র থেকে পণ্যগুলোর প্রধান বাজার হিসেবে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক গেটওয়ের মাধ্যমে আমদানি করা পণ্যের জন্য তারা শ্রম প্রযুক্তি, সহায়তা পরিসেবা, জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের উৎস হিসেবেও কাজ করে। অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়নের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো স্বল্পোন্নত অঞ্চলের একীকরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমাদের কাজ সব খোলা রেখে খোলা মনে ব্যবসা করা। এ বিষয়ে আরও বেশি উদার হতে হবে। চারদিকে খুলে কাজ করতে হবে, বাধা দূর করতে হবে। আমরা প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্বের সঙ্গে উদার ট্রেড (বাণিজ্য) চাই, এটা আমাদের দরকার। আঞ্চলিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছি। ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ করছি। ঢাকার চারপাশের উন্নয়ন করছি। ঢাকাকে বাইপাস করে সড়কের কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু সেতু ও পদ্মা সেতু বড় করিডর। এটা আমরা করতে পেরেছি। সাতক্ষীরা থেকে এখন ঢাকায় আসতে নৌকায় উঠতে হয় না। সরকার ব্যবসাবান্ধব। সরকার ব্যবসা আরও সহজ করছে। সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা ফ্লাইওভার চার হাজার কোটি টাকায় নির্মাণ করছি। এর মাধ্যমে দেশের বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়বে।

প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নানা কাজে পাশের বাড়ি (ভারত) যেতেই হবে। এটা করলে লাভ হবে। ভুটান-ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি (সংযোগ) করছি। এটা আমাদের প্রয়োজনে করছি, আমাদের বন্ধু দরকার। আমাদের প্রয়োজন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজার রহমান ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনের (বেজা) চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মি. সুন চ্যাং হোং। আলোচক হিসেবে ছিলেন এডিবির ডিরেক্টর সব্যসাচী মিত্র, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ। সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সদস্য অভিজিৎ চৌধুরী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর