লালমনিরহাটে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত-৫

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ তার পরিবারের ৫জন সদস্য।
মঙ্গলবার(২৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের (৭৫) বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল প্রতিবেশি জোবেদ আলী ও তার সন্তানরা। বিষয়টি বেশ কিছু গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তৎকালিন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরেজমিনে গিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধার যাতায়তের রাস্তা স্বাভাবিক করে দেন।
সেই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার দুপুরে নিজের জমির মাটি তুলছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম। এসময় গাছের শিকরের অংশ বিশেষ কেটে গাছের ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ তুলে প্রতিবেশি জোবেদ গংরা দলবল নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে এসে হামলার শিকার তার ছেলে শাহাজান বাদশা (৩৫), নাতি আনিচুর রহমান (২২) ও মেয়ে বিজলি বেগম (৩৫) ও জামাতা জহুরুল হক(৪০)।
পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ আহতদের উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতরা সবাই শ্বঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে দাবি করেছে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের বেডে থাকা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম বলেন, জোবেদরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে না। তারা আমাকে এলাকা ছাড়া করার চেষ্টা করছে। দুই বছর আগে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। যাতে জমি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু তখনকার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা পারেনি। আবার তারা আমার মাথায় দা দিয়ে কোপ দিয়েছিল হাত দিয়ে রক্ষা চেষ্টা করায় হাত ভেঙ্গে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় বীরমুক্তিযোদ্ধা মহোদয় থানায় এসে মৌখিক ভাবে অবগত করেছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।