মিনি স্টেডিয়ামে বাঁশের হাঁট, নীরব ভূমিকায় মেয়র
ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বাঁশের হাট বসে সপ্তাহে বুধবার। এতে খেলা ধুলায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় খেলোয়ারদের।
পৌরসভা হাটটি ইজারা দিয়েছে বলে নীরব ভূমিকায় রয়েছে পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান। এমন অভিযোগ স্থানীয়সহ খেলোয়ারদের। তাদের দাবি হাটটি এখান থেকে অপসারণ করা হোক।
জানা যায় পৌরসভার কাছ থেকে এক বছরের চুক্তিতে হাটটি ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় ইজারাদার শামিম ইসলাম।
শনিবার(১৬ এপ্রিল) অভিযোগ করে স্থানীয় খেলোয়াররা বলেন, পৌরসভার ওয়ার্ড-৮ হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন স্টেডিযামে হাটের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা নামার আগ পর্যন্ত চলে বাস কেনাবেচা। সপ্তাহে একদিন হাট বসলেও বাঁশের খরকুটোর কারনে গোটা সপ্তাহ খেলাধুলা বন্ধ থাকে তাদের।
ক্রিকেটার রবিন উদ্দীন বলেন, মেয়র কিভাবে একটু স্টেডিয়াম হবার পর সেটিকে বাঁশের হাট হিসেবে ইজারা দেয় আমার বোধম্য নয়। একজন মেয়র কিভাবে ক্রিড়াঙ্গনকে এভাবে পিছিয়ে রাখেন।
খেলোয়ার নুহাস ইকরাম বলেন, আমাদের খেলার জন্য একমাত্র মাঠ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। কিন্তু মাঠটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। অনেকেই খেলতে নেমে বাঁশের খরকুটোতে রক্তাক্ত হয়েছি।
হাট বসার আগে মাঠে রোজ ফুটবল অনুশীলন করতেন প্রতিভাবান ফুটবলার মিনার রহমান। বলেন, আমি সহ অনেকেই অনুশীলনে আসতাম। এখন আসা হয়না। এভাবে বাঁশের হাট বসিয়ে খেলাধুলোকে বাঁধাগ্রস্থ করে শেখ রাসেলের নামকে পুঁজি করে আর্থিক হিসেব করা অযৌক্তিক। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যাটি নিয়ে ভাবার উদাত্ত আহ্বান রাখলাম।।
রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা নারী ফুটবল দলের পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, খেলোয়ারদের প্রতিভা বিকাশের জন্য সরকার প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিয়েছেন। কিন্তু সরকারের এ উদ্যোগকে ব্যহত করা হচ্ছ। হাটটি অপসারণ জরুরি।
নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্টেডিয়াম হওয়ার আগে থেকে সেটি বাঁশের হাট ছিল। স্টেডিয়াম হওয়ার পরে বাঁশের হাট হিসেবে পৌরসভা কেন ইজারা দিল এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। খেলোয়ারদের অভিযোগ স্টেডিয়ামে বাঁশের খরকুটো খেলাধুলোয় অসুবিধা করে মেয়র হিসেবে কি ব্যবস্থা নিবেন জানতে চাইলে মেয়র বলেন বিষয়টি নিয়ে পরে মন্তব্য করবেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টীভ বলেন হাটের বিষয়ে আমি ইজারাদারদের সাথে কথা বলে সেটিকে স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করবো।