শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হজ যাত্রীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন, এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী বেড়ায় তীব্র গরমে পানি ও খাবার স্যালাইনের শরবত বিতরণ সিরাজগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনতে প্রচেষ্টা আছে সরকারের: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে আসছে পড়াশোনার শিক্ষা চ্যানেল এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন নয়: গণপূর্তমন্ত্রী পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হিন্দু যুবকদের উদ্যোগে পার্থ সারথী বিদ্যাপিঠ গীতা স্কুল সিরাজগঞ্জে ২টি ব্রীজের শুভ উদ্বোধন করলেন এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী

বন্যায় যোগাযোগে পদ্মা সেতু হবে আশীর্বাদ: প্রধানমন্ত্রী

কলমের বার্তা / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২০ জুন, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যার এ প্রেক্ষাপটে সহজ যোগাযোগের জন্য পদ্মা সেতু একটি আশীর্বাদ হবে। এ সেতু ২৫ জুন উদ্বোধন করব ইনশাআল্লাহ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে রোববার সকালে তিনি এসব কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা ক্রীড়াবিদদের মাঝে সম্মাননার চেক বিতরণ করেন তিনি ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন একটা সময় পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছি সে সময় বন্যা শুরু হয়ে গেছে এবং তা দক্ষিণাঞ্চলেও যাবে। সে সময় পণ্য পরিবহণ, বন্যা মোকাবিলা, বন্যার্তদের রিলিফ দেওয়া, ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহের বিষয়টি আরও সহজ হবে। এ সময় ১৯৮৮ সালের বন্যায় গোপালগঞ্জে আটকা পড়ার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তখন এরকম পদ্মা সেতু থাকলে সহজেই চলে আসা সম্ভব হতো। তিনি ’৯৮ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ঠিক সেই বন্যার আগেই আমরা বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু উদ্বোধন করেছিলাম। এতে উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহণসহ সব কাজের সুবিধা হয়। দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার উত্তরাঞ্চল থেকে সুবিধাটা পায়। ফলে বন্যা সফলভাবে মোকাবিলা সম্ভব হয়েছিল।

সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির প্রতিনিয়ত খবর রাখছেন এবং এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বন্যায় ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠান বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার করা, তাদের ত্রাণ দেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট সব কাজে নিয়োজিত আছে। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীও বিভিন্ন এলাকায় সহযোগিতা করছেন। এর পাশাপাশি সরকার স্যালাইন, সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ যা যা দরকার তার জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছে।

খেলাধুলাকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশে বিশ্বমানের ক্রীড়াবিদ তৈরিতে তার সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যাও আমরা মোকাবিলা করব এবং খেলাধুলাও আমাদের চলবে। সবই চলবে। এটাই আমাদের জীবন-এটাকেই মেনে নিতে হবে। যারা খেলবে, দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে, তাদের জীবন-জীবিকার সুযোগটাও আমাদের করে দিতে হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফ ২০২১ চ্যাম্পিয়ন মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ৩৩ সদস্যসহ মোট ৮৮ ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সম্মাননা দেওয়া হয়। অপর ৫৫ খেলোয়াড়ের মধ্যে মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজ ২০২০-এর ৩৩ জন এবং বঙ্গবন্ধু ৪-জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২-এর বিজয়ী ২২ খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা, খেলোয়াড় মনিকা চাকমা ও প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটন, বাংলাদেশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার হাতে সম্মানির চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন শ্রেণির ক্রীড়া দলের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন-যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী মো. সালাহউদ্দিন, মারিয়া মান্দা ও ফয়সাল খান। স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম।

101


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর