শিরোনামঃ
কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপি বরদাস্ত করবে না প্রশাসন শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক প্রশিক্ষণ অপরিহার্য -উপাচার্য ড. মশিউর রহমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মেজবাহ্ উদ্দিন টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজীর অভিযোগে গ্রেফতার-৮ চতুর্থ দিনেও ঢাকার জনগণের মাঝে হাবিব হাসান শাহজাদপুরে দিনমজুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ  উদ্ধার  সিরাজগঞ্জে মহান মে দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের রেল উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী রাশিয়া সিরাজগঞ্জে তৃষ্ণার্ত মানুষদের মাঝে স্যালাইন ও শরবত বিতরণ রেলপথে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা, শুরু জুলাই থেকে এআই প্রযুক্তিতে চলবে সরকারি অফিস অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ শরবত বিতরণ করতে গিয়ে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে ১২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ আমবাড়ীতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া সংশোধন করা হচ্ছে শ্রম আইন রেডিয়েশন প্রয়োগে ঘরেই সংরক্ষণ করা যাবে পেঁয়াজ চিকিৎসকরা অফিস টাইমে হাসপাতালের বাইরে গেলে ব্যবস্থা প্রবৃদ্ধির দৌড়ে চীন মালয়েশিয়ার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সলঙ্গার রামকৃষ্ণপুরে পুকুর খননের হিড়িক, কমে যাচ্ছে তিন ফসলি জমি

কলমের বার্তা / ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে, কমে যাচ্ছে তুন ফসিল কৃষি জমি। রামকৃষ্ণপুরের ভূমি অফিসের সামনে ও আশপাশে বলা চলে নাকের ডগার উপর দিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। এ যেনো দেখার কেউ নেই। জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও রামকৃষ্ণপুরে তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ।

স্থানীয়রা জানান,চৈত্রহাটি এইচ আর এম ব্রিকস এর মালিক বোরহান উদ্দিন কৃষকদের ফসলি জমিতে পুকুর খননের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষি জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে ১০ থেকে ১২ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চালাচ্ছেন। তিনি কৌশলে অন্যদের নাম ব্যবহার করে ফসলি জমি লিজ নিয়ে পরে সে নতুন চুক্তির ভিত্তিতে ভাটায় মাটি নেন। দিনরাত বিরতিহীন পুকুর খনন করে সেই মাটি ইটভাটায় সরবারহ করেন।

কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর তিন ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন ভাটার এই মালিক। শ্রেণিভেদে প্রায় সকল জমিতেই সারা বছর কোনও না কোনও ধরণের ফসল হয়। সেটাকে বাধাগ্রস্থ করে বিঘা প্রতি ৪০/৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১০ থেকে ২০ বছর মেয়াদী চুক্তি করে সেটাকে পুকুরে রুপান্তরিত করছে। আর খননকৃত সেই মাটি যাচ্ছে ভাটায়। পুকুর খননের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলেও বিশেষ করে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আশপাশ যেমন উনুখা, পুকুরপাড়,দবিগঞ্জ,পাঠানপাড়া,জালশুকা ও আগরপুর গ্রামে পুকুর খননের প্রবণতা বেশি। ইতোমধ্যেই হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে।

বর্তমানে পাঠানপাড়া ও আগরপুর গ্রামে পুকুর খননের কাজ চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে চৈত্রহাটি এইচ আর এম ব্রিকস এর মালিক বোরহান উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,আমি নিজেই ডিট করে পুকুর খনন করছি,আমার মামার সাথে কথা বলে আপনাদের সাথে কথা বলবো।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’- ভূমি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে স্কেবেটার মেশিন দিয়ে যারা পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করছে ইউএনও স্যারের সাথে পরামর্শ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উজ্জল হোসেন বলেন, তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

127


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর