ডিসেম্বরে বসছে পদ্মা সেতুতে ক্যামেরা
এটিএমএস-এর আওতায় পদ্মা সেতুতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ ক্যামেরা স্থাপন টোল ও সেতুর সংরক্ষণ আধুনিকায়নে জরিপ (সার্ভে) শেষ হয়েছে। এখন নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে জোরেশোরে। ঈদে ঘরমুখো মানুষকে পদ্মা সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে পারাপার করতে গিয়ে টোল প্লাজার বুথে বড় যানে কয়েকবার ধাক্কার বিষয়টি মোকাবিলাও এ পরিকল্পনায় গুরুত্ব পাচ্ছে।
স্বপ্ন জয়ের পদ্মা সেতুকে এ ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে, যা হবে বিশ্বমানের। এ সিস্টেমে কন্ট্রোল রুমে বসেই সেতুর অপারেশন ও ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মনিটরিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির নাম্বার প্লেট, আইডেন্টিফিকেশন, গাড়িটি কত কিলোমিটার বেগে যাচ্ছে সবকিছুই জানা যাবে। এই জিনিসগুলোর কাজ চলছে, নকশা পর্যায়ে আছে। আমরা আশা করছি পুরো সিস্টেমটা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে পারব।’
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী বলেন, ‘সেতুটি আমরা হস্তান্তর করেছি। তারা (কর্তৃপক্ষ) দেখবে কত মিটার পরপর এবং বর্তমান বাজারে যে হায়েসপিকজেল আছে বা রেজুলেশন আছে এই জিনিসগুলো কনসিডার করে সেটি (ক্যামেরা সিস্টেম) তারা নিয়ে আসবে।’
পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, সেতুতে কিছু খুঁটিনাটি কাজ চলমান রয়েছে। তাই যানবাহনের গতিসীমা কমানো হয়েছে। ৮০ থেকে কমিয়ে ৬০ করা হয়েছে। পুরো সেতুকে এটিএমএস-এর আওতায় আনতে আরও ছয় মাস সময় লাগবে।