কাজিপুরে মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক কথা বলার অভিযোগে যুবক গ্ৰেফতার
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চৌদ্দ দলের সমন্বয়ক, সাবেক মন্ত্রী মরহুম মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক কথা বলার অভিযোগে আশকার পাইন(৩২) নামের এক যুবককে গ্ৰেফতার করেছে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ থেকে গ্ৰেফতার হওয়া আশকার পাইন কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা গ্ৰামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে। তাকে ৯ ফেব্রুয়ারি জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে নিশ্চিত করেছেন কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত (পিপিএম)। তিনি জানান, কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলামের দায়েরকৃত মামলায় আশকার পাইনকে গ্ৰেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিম বিদ্বেষী কথা বলার অভিযোগ
রয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি “ভয়েস অফ টিভি” নামের একটি ফেসবুক আইডিতে আশকার পাইনের সাথে জনৈক মহিলার কথপকথনের অডিও কল রেকর্ড আপলোড করা হয় এবং তা অতি অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়, কথপকথনের একপর্যায়ে পাইন মহিলাকে বলে “আশকার পাইন যা কাজিপুরে করেছে নাসিমও তা করে নাই”। এতে করে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি খ্যাত কাজিপুরের আওয়ামী নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পরে। জননেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এম মনসুর আলীর সুযোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে কাজিপুরসহ উত্তর বঙ্গের উন্নয়নের রুপকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাঁর সম্পর্কে এমন বিদ্বেষমূলক মনোভাব কাজিপুরবাসীর মধ্যে মধ্যে সমালোচনার ঝড় তোলে। এর প্রেক্ষিতে গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম, দুবলাই গ্ৰামের মৃত তোজাম্মেল হকের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৫) এবং গান্ধাইল গ্ৰামের আমিনুল ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা(২৯) বাদী হয়ে কাজিপুর থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের ভিত্তিতে কাজিপুর থানা পুলিশের তথ্যানুযায়ী সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গত ৮ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ থেকে আশকার পাইনকে গ্ৰেফতার করে।
গ্ৰেফতার হওয়ার পূর্বে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আশকার পাইন তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো: “প্রিয় ফেসবুক বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে,আমার নামে সাবেক স্ত্রী রোকসানা আক্তার আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেছিল যেটাতে আমি খালাস পেয়েছি।আমার সাথে কোনভাবে জিততে না পেরে বিভিন্ন সময়ের কথোপকথন রেকর্ড করে রেখেছিল যা সুপার এডিটের মাধ্যমে চরিত্র হননের চেষ্টা করছে সাবেক শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন। লিমন হেলাল নামের সাবেক শালা এই অপপ্রচারের মূল হোতা। কেউ অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।আমি দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। বিস্তারিত প্রমাণসহ কমেন্ট বক্সে দিলাম। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ”।
উল্লেখ্য, গ্ৰেফতারকৃত আশকার পাইন ভয়েস অব কাজিপুর নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আশার আলো ফাউন্ডেশনের পরিচালক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার পাঠকদের সংগঠন “শুভসংঘ” কাজিপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।