স্মাট বাংলাদেশ গড়তে হলে ইংরেজী নিয়েই স্বপ্ন দেখতে হবে: হুমায়ুন পারভেজ

ফেসবুকে ঢুকলেই ক্রিকেট, ফুটবল সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় হুমায়ুন পারভেজকে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ইংরেজীকে ভালোবাসতেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে ভিডিও বানান। তিনি সাইফোর্সে প্রায় দুই বছর শিক্ষকতা করেন এছাড়াও তিনি সিরাজগঞ্জের এস্পিস ইংলিশ স্পোকেনে শিক্ষকতা করেছেন।
তিনি বর্তমানে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে শিক্ষকতা করছেন। হুমায়ুন পারভেজের খ্যাতি এ কারণে নয়। তিনি যে সকল ভিডিও আপলোড করেন। লাখো অনুসারী দেখেন সেসব ভিডিও। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইংরেজি শেখার গ্রুপ হচ্ছে সার্চ ইংলিশ গ্রপ সেখানে তিনি ভিডিও আপলোড করেন লাখো অনুসারীরা সেই ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হন।
বাংলাদেশ সহ দেশের বাহিরেও হুমায়ুন পারভেজের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক তার সাথে নিয়মিত কথা বলেন। দেশ ও দেশের বাহিরে এত জনপ্রিয়তা থাকার পরেও তিনি জানান আমি সবসময় শিখি ইংরেজিতে ভিডিও বানিয়ে আমি এতটা জনপ্রিয় হব তা আমি কখনো ভাবিনি, আমি মুলত ব্রিটিশ একসেন্টে কথা বলি। অনলাইন দুনিয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তাঁর কাছে ইংরেজি শেখেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাঁরা নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাঁদের কাছে বেশ পরিচিত মুখ হুমায়ুন পারভেজ। তিনি সদা হাসিখুশি একজন মানুষ, তার সহজ আর সাবলীল উপস্থাপনা দর্শকদের কাছে বেশ পছন্দ।
শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকলে দেশের কোন পরির্তন আসবে না। ভাবতে হবে চারপাশের মানুষ নিয়ে। সকল পরিবর্তনের জন্য প্রথমে প্রয়োজন তারুণ্য। যখন আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব পুরো সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনছে, তখনই কিছু তরুণ কল্যাণমুখী কাজে নিয়োজিত করছেন, সমাজ, দেশ ও জাতির ইতিবাচক পরিবর্তন করার জন্য অদম্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন তেমনি অজপাড়া গাঁয়ের হুমায়ুন পারভেজ।
অদম্য এক তরুণ হুমায়ুন পারভেজ। জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার শেলবরিষা গ্রামে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে অনার্স, মাস্টার্স শেষ করে।
তিনি নিঃস্বার্থভাবে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আশপাশের মানুষদের জন্য কিছু করতে সচেষ্ট হন। এমন মনোভাব নিয়েই গড়ে তুলেছেন “লানিং ইংলিশ” নামে একটি ফেসবুক পেজ। যে পেজের মাধ্যমে অজপাড়া গাঁয়ের শিক্ষার্থীদের ইংরেজীতে করে তুলছেন দক্ষ। হুমায়ুন পারভেজ আত্মকেন্দ্রিক না থেকে সমাজ কিংবা দেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে কথা হলো নানা বিষয়ে।
আমি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। এখানে গুরুত্ব পায় ইচ্ছা এবং কাজ করার স্পৃহা। যেখানে থাকি যেভাবেই থাকি যে পেশায়ই থাকি মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই সবসময়। আমি যা করি গরীব দুঃখী মানুষদের ভালোবেসেই করি। এ ধরণের কাজ করে আমি আনন্দ পাই। সেজন্য বর্তমান ডিজিটাল মিডিয়াকে, সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে একসুতোতে বাঁধতেই গড়ে তুলেছি “লানিং ইংলিশ ফেসবুক পেজ। একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে সরকারকে সাহায্য করতে চাই। আমরা “লানিং ইংলিশ” ফেসবুক পেজ থেকে ইতিমধ্য অনেক শিক্ষার্থীকে বিনামূল্য ইংরেজী শিক্ষা প্রদান করেছি।