মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০২:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সুজানগরে ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধর করলেন বিএনপির নেতারা যশোরের শার্শা মূল্য তালিকা না থাকায়’৪ দোকানদার কে জরিমানা ভাঙ্গুড়ায় মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন গন অধিকার পরিষদের ভালুকায় পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারার জের ধরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধর  দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর গাজীপুর নগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় ডেবিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতার-৫৮ ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন উৎপাদন ব্যয় কমাবে যান্ত্রিক কৃষি, সমলয় ধান চাষ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক  ডেবিল হান্ট অভিযানে গাজীপুর নগরীতে গ্রেফতার-১৪ গাজীপুরে মহাসড়কে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩

৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতে ৭ বছর সময় পাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো

রিপোর্টারের নাম : / ৯৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) মন্ত্রিসভায় উঠছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী প্রস্তাব। এতে রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার সময় ২০২০ সাল থেকে ১০ বছর বাড়িয়ে ২০৩০ সাল করাসহ বেশ কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব উঠছে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলে সংসদের আসন্ন অধিবেশনে এটি বিল আকারে উঠতে পারে। বিল পাস হলে দলগুলো আরও সাত বছর সময় পাচ্ছে। আগামী ৬ এপ্রিল সংসদের ২২তম অধিবেশন বসবে। আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশোধনী প্রস্তাবে ইসির অনুমোদিত ইভিএমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ দিয়ে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারের ব্যালট ইস্যুর বাধ্যবাধকতার বিধানটি আমলে নেওয়া হয়নি। তবে তাদের প্রস্তাবিত যেকোনও পর্যায়ে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আরপিও সংশোধনী মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠবে। বৈঠকের ওয়ার্কিং পেপার দিয়ে আমাদের এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই বৈঠকে ইসির প্রতিনিধি হিসেবে সচিব মহোদয় উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান এই অতিরিক্ত সচিব।

জানা গেছে, কয়েক বছর অপেক্ষার পর আরপিও সংশোধনী মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠছে। এতে ১৫-১৭টি ধারা-উপধারায় সংশোধনী আসতে পারে। ইভিএমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার আঙুলের ছাপে সর্বোচ্চ এক শতাংশ ভোটারকে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যালট ইস্যুর বিধান আরপিওতে যুক্তের প্রস্তাব করেছিল ইসি। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে তা সংশোধনী প্রস্তাবে থাকছে না। বিষয়টি সার্কুলার জারি করার বিদ্যমান যে প্রথা রয়েছে তা-ই বহাল থাকছে।

এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণ এবং বিলখেলাপিরা তাদের খেলাপি টাকা পরিশোধ করলেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে সাত দিন আগে এসব পরিশোধের বিধান রয়েছে।

এছাড়া সংশোধনীর অনুচ্ছেদ ২৫-এ ভোটকেন্দ্রে পেশিশক্তির প্রভাব বিস্তার করলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তা কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন বন্ধ করবেন তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩৬-এ ব্যালট পেপারের পেছনে অফিসিয়াল সিল ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকলে তা গণনায় আনা যাবে না এমন বিধান স্পষ্ট করা হয়েছে।

অনুচ্ছেদ ৩৬(১১)-এ ভোটগণনার বিবরণী ও ব্যালট পেপারের হিসাব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার এজেন্টকে দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৭৮(২) অনুচ্ছেদে ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৪৮ ঘণ্টা ও পরের ৪৮ ঘণ্টায় কেউ বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ, অস্ত্র ও পেশিশক্তি প্রদর্শন এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিতদের ভয় দেখালে সর্বোচ্চ সাত বছর ও সর্বনিম্ন দুই বছর জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সংশোধনীর ৮৪এ ও ৮৪বি অনুচ্ছেদে ভোটার, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পেশিশক্তির বিস্তার বন্ধে সাজার কথা বলা হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিদায়ী কে এম নূরুল হুদা কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। তারা পুরো আইনটি বাংলায় প্রণয়নে উদ্যোগ নেয়। এমনকি আইনের শিরোনাম পরিবর্তন করে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন করার প্রস্তাব করে সরকারের কাছে পাঠায়। তবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রণীত আইনটি পরিবর্তনে সরকার আপত্তি জানায়। পরে ইসি সংশোধনীর প্রস্তাব থেকে সরে আসে। এ সময় আইনের বিধান মতে এর বাংলা পাঠ প্রকাশ করা হয়।

পরে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে আগস্টে আরপিও সংশোধনে একগুচ্ছ প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপর সরকারের কোনও সাড়া না পেয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর, ১০ অক্টোবর ও ২৭ নভেম্বর অগ্রগতি জানতে চেয়ে তিন দফা চিঠি দেয়। এরপর গত বছরের শেষ দিকে সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক জিজ্ঞাসার জবাব দেওয়ার মাধ্যমে গত ফেব্রুয়ারিতে বিলটির সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়।

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠানের বিধান যুক্ত করে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর আরপিওতে সংশোধনী আনা হয়েছিল। ওই সংশোধনীসহ ১৯৭২ সালে প্রণীত এই নির্বাচনি আইনটি মোট ১৭ বার সংশোধন হয়েছে। এবারের সংশোধনীটি হবে ১৮তম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর