শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে ২ নারীসহ ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ ভুরুঙ্গামারীতে চর বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের দাবীতে মানববন্ধন ‎উপজেলা প্রকৌশলীদের উপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন কাজিপুরের লাইসিয়াম স্কুল এন্ড কলেজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত  লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শ্যামল ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক! জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি নিয়ে দুপক্ষের  পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী কুড়িগ্রামে ‘’ফ্রেন্ডশিপ ডিসএবিলিটি প্রোগ্রাম’’ এর এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত কোনাবাড়িতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১ লফস’র আয়োজনে খেলার মাঠ,পার্ক ও উম্মুক্ত স্থানের বাজেট বরাদ্দ বিষয়ক আলোচনা সভা

১১টি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা : ’নিক্কেই এশিয়া’কে প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম : / ৯৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩

বিশ্বের ১১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপানের প্রভাবশালী পত্রিকা নিক্কেইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। আগামী মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) জাপান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে তিনি নিক্কেইয়ের সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন।

জাপান সফরে শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়ন ও অংশীদারত্ব বাড়াতে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে মোকাবিলা করতে জাপান এরই মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।

সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো উন্নত দেশগুলোর রপ্তানি শুল্ক থেকে অব্যাহতি পায়। এজন্য স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ একটি ‘ভিন্ন পরিস্থিতির’ মুখোমুখি হবে।
বাংলাদেশ ২০২৬ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে চাই। বর্তমানে ১১টি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে।’
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমিত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে, কিন্তু কোনো দেশের সঙ্গে ‘এফটিএ’ বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই। তবে কোন কোন দেশের সঙ্গে এফটিএ নিয়ে আলোচনা চলছে, তা জানাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধারণা করা হচ্ছে, দেশগুলোর মধ্যে ভারত, চীন ও জাপান রয়েছে।

চীনের পর বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। পোশাক খাতের বাইরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও ডিজিটাল যন্ত্রপাতিকে প্রতিশ্রæতিশীল খাত হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তিনি মৎস্য সম্পদসহ বঙ্গোপসাগরের সম্পদের কথাও সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন।

নিক্কেইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। তবে শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ কূটনীতির প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কীভাবে দেশকে উন্নত করা যায়, সেটিই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। আমাদের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তার মেয়াদকালে ৪৪০ কোটি ডলার বা ৬০০ বিলিয়ন ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। পরবর্তী ৭ বছরে জাপানি সহায়তা ঋণ আরো বেড়ে ১ দশমিক ৬৫ ট্রিলিয়ন ইয়েনে পৌঁছেছে। জাপানের সহায়তায় দেশে প্রথম মেট্রোরেল, প্রথম শিল্প পার্ক, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে জাপান অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখছে।’

নিক্কেইয়ের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ও ঋণ বেড়েছে। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা সতর্ক রয়েছেন। এজন্য মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে চীনা সহায়তা না নিয়ে জাপানি সহায়তা নিয়েছেন তিনি।

এদিকে জাপান তার নতুন অফিশিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স (ওএসএ) প্রোগ্রামের প্রথম বছরে বাংলাদেশকে ৪টি সম্ভাব্য দেশের একটি হিসেবে পরিকল্পনায় রেখেছে। এর ফলে বাংলাদেশ জাপানের কাছ থেকে বিনামূল্যে সামরিক সরঞ্জাম পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক সমস্যায় নেই- তা নয়। রিজার্ভসংকট মোকাবিলা করতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা নিয়েছে।

নিক্কেই বলেছে, গণতন্ত্র নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে বাংলাদেশে। এ কারণে গত মাসে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করতেই আমি এসেছি।’
বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় একাধিকবার সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের নজির রয়েছে। সেনবাহিনীর সঙ্গে বর্তমান সরকারের আস্থা তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সময়ে তাদের (সেনাবাহিনীর) যে অগ্রগতি হয়েছে, তা তারা স্বীকার করে।’

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছে বলে উল্লেখ করেছে নিক্কেই। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি এমন একটি বোঝা, যা আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। আমরা বাইরের বিশ্ব থেকে যেসব সমর্থন পেতাম, তা আসলে কমে যাচ্ছে।’ তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং তাড়াতাড়ি প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর