রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

কালিয়াকৈরে কারখানা শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুরঃ / ৬৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পোষাক তৈরি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে একটি শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকায়। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।

তবে কারখানার শ্রমিকরা জানান, সামনে ঈদ। এই মুহুর্তে ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে কারখানায় আন্দোলন হলে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে। কারখানা বন্ধ হলে তারা ঈদ উদযাপন করতে পারবে না। তাই শ্রমিকরা এই মুহুর্তে কোনো ঝামেলা চাইছে না।

কারখানা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এম এস এ স্পিনিং এবং হ্যামকো ফুটওয়্যার কারখানার শ্রমিক পরিচয়ে বৈঠক করে। শ্রমিক আন্দোলনের কারনে বেশ কিছুদিন ধরে ওই কারখানা দুইটি বন্ধ রয়েছে। ওই দুইটি কারখানার কিছু সংখ্যক শ্রমিক বৈঠক সামিল হয়। এসময়ে ওই শ্রমিকরা তাদের পাশের সচল লিবাস টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা ও নানা গুজব জড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এসময়ে এলাকাবাসীর ওই শ্রমিকদের সন্দেহ হয় যে তারা এলাকায় আবারও অস্থিরতা বিরাজ করার পায়তারা করছে। পরে তারা গোপন বৈঠকে থাকা বহিরাত শ্রমিক ও শ্রমিক নেতা দাবী করাদের ধাওয়া করে এলাকা থেকে বিতারিত করে দেয়। ওই দিনের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই নানা ভাবে লিবাস কারখানার শ্রমিকদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বহিরাগতরা। এবং লিবাস টেক্সটাইল লিমিটেড কে জড়িয়ে ক্লিন ক্লথ ক্যাম্পইন নামে নিউজ পোর্টালে লিবাস টেক্সটাইল কারখানার নামে অপপ্রচার চালায়।এতে কারখানার সুনাম ও ব্যবসায়ের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষে সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রমিক ফেডারেশনের লোকজন স্থানীয় দুইটি কারখানার শ্রমিকদের এর আগে নানাভাবে উসকানি দিয়ে কারখানায় অসেন্তাষ সৃষ্টি করেছে। যার কারণে এম এস এ স্পিনিং দীর্ঘ প্রায়ই এক বছর বন্ধ ছিল। এছাড়াও হ্যামকো ফুটওয়্যার কারখানা গত সাত দিন বন্ধ ছিল। এম এস এ কারখানা বন্ধ থাকায় ১০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। লিবাস কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে কারখানা কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারন ডায়োরি করেছে।

স্থানীয় নিশ্চিন্তপুর লিবাস কারখানা গেইটের সামনের ব্যবসায়ী মোঃ লতিফ বলেন, ওই দিন শরিফুল এবং জগদীস এখানে এসে মিটিং করছিল। তখন এলাকার লোকজনের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে যে তারা আবার কারখানা বন্ধের পায়তারা করছে। তখন তাদের উপর ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এদিকে শ্রমিক অসেন্তাষ থাকলে দোকানে বেচাকেনা এক প্রকার বন্ধ থাকে।

কিছু বহিরাগত নেতাদের কারনে এম এস এ কারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এখন তারা লিবাস কারখানাটিও বন্ধ করার নানা পায়তারা করছে। কোনাবাড়ি এলাকা থেকে কয়েকজন শ্রমিক এই এলাকায় এসে নিজেদের শ্রমিক নেতা দাবি করে কারখানার শ্রমিকদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।

হামলার স্বীকার জগদীস বলেন, ওই দিন কোনাবাড়ী থেকে শ্রমিক ফেডারেশনের দুইজন লোক আসে। তারা এসে আমার সাথে কথা বলে চলে যায়। এসময় এলাকার কয়েকজন লোক এসে আমাকে বলে তুই আবার কারখানায় অসেন্তাষ করার পায়তারা করতাছিস এই বলে আমাকে মারপিট করে। তবে এখানে লিবাস কারখানার কোন লোক জড়িত ছিল না।

লিবাস টেক্সটাইল কারখানার মহা ব্যবস্থাপক ( মানবসম্পদ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ রানা বলেন, সম্প্রতি কারখানার সামনে বাজারে মারপিটের ঘটনা ঘটে। সেখানে আমাদের কারখানার কোন লোক জড়িত ছিল না। কিন্তু একটি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা এটি নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। তারা আবারো কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ করার পায়তারা করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর