মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ আমলী আদালতে ট্রাক চালক রোকন মোল্লা নিজেই বাদি হয়েছে আদালতে মামলা দায়ের করেন। রোকন পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার নেছরাপাড়া এলাকার রহমত মোল্লার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়,বিগত ৫ মে ২০২৪ এ ট্রাক চালক রোকন মোল্লা বগুড়া থেকে পাবনা যাওয়ার পথে রাত ১ টায় ঢাকা-নগরবাড়ি মহাসড়কের কাওয়াক মোড়ে রাত্রিকালীন ডিউটিরত পুলিশের পিক-আপের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার সাবেক ওসি আসিফ মুহাম্মদ সিদ্দিকুর ইসলাম ড্রাইভার রোকন মোল্লার দিকে রিভলভার তাক করে। ট্রাক চালক ভয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে সিরাজগঞ্জ রোডের দিকে দ্রুত ছুটতে থাকলে পুলিশের গাড়িও পিছু নেয়। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানার সাবেক ওসি এনামুল হক ওই ট্রাকটি ধরতে পিছু নেয়।
পরে সলঙ্গা থানার রাজশাহী-পাবনা মহাসড়কের হরিণচড়ায় ট্রাক চালক রোকন মোল্লা কে আটক করে মারধর করে এবং বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে রাস্তার পাশে পুকুরে নামিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে পুকুর থেকে তুলে অভিযুক্ত আসামী সলঙ্গা থানার সাবেক ওসি এনামুল হক উল্লাপাড়া মডেল থানার সাবেক ওসি আসিফ মুহাম্মদ সিদ্দিকুর ইসলামকে ট্রাক ড্রাইভার রোকন মোল্লাকে গুলি করে মেরে ফেলতে বলে। পরে আসিফ তার ডান পায়ে গুলি করে সলঙ্গা থানায় নিয়ে ৩ টি মামলা করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা অর্থপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে ট্রাক চালক রোকন মোল্লার ডান পা কেটে ফেলা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদি রোকন মোল্লা বলেন, উল্লাপাড়া থানার সাবেক ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুর ইসলাম পিস্তল দিয়ে তাকে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে। তার একটি পা নেই। তিনি দাবি করেন দীর্ঘদিন মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকার কারণে তার সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে দেরি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর কারাভোগ শেষ করে জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি মামলা করেছেন। ট্রাক চালক রোকন মোল্লা তার সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান আসামী উল্লাপাড়া মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মুহাম্মদ সিদ্দিকুর ইসলাম বলেন,মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে। বরং ট্রাক ড্রাইভার রোকন মোল্লার অস্ত্র মামলা সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলা দাখিলকারী আইনজীবী গোলাম হাদী কিরন ইসলাম জানান,বাদী পক্ষের মেডিকেল রিপোর্ট এসেছে। সলংঙ্গা থানা আমলি আদালত এই মামলাটি সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপারকে রুজু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।