লালমনিরহাট বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে মাদক উদ্ধার
আশরাফুল হক, লালমনিরহাট : লালমনিরহাট (১৫ বিজিবি)’র বিশেষ অভিযানে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ও গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ২টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ও গাঁজা জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে বিজিবি জানতে পারে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ৮টায় শিমুলবাড়ী বিওপি’র আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার শিমুলবাড়ী মাঠ নামক স্থানে বিজিবির টহলদল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন কতিপয় সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ১শত ৪৬ বোতল উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টা ৫০ মিনিটে দৈখাওয়া বিওপি’র আওতাধীন জেলার হাতীবান্ধা থানার উত্তর গোতামারী নামক স্থানে অভিযান পরিচালনাকালীন কতিপয় সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় গাঁজা ১০.৫ কেজি উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত পণ্য ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ১শত ৪৬ বোতল, যার সিজার মূল্য ৫৮ হাজার ৪ শত টাকা, ভারতীয় গাঁজা ১০.৫কেজি, যার সিজার মূল্য ৩৬ হাজার ৭ শত ৫০ টাকা। সর্বমোট সিজার মূল্য ৯৫ হাজার ১শত ৫০টাকা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।








