রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভাঙ্গুড়ায় এসএসসি ২০১০ ব্যাচের বন্ধু-বান্ধবীর মিলন মেলা অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে সর্বস্তরের জনগণকে শুভেচ্ছা জানালেন গাজীপুর সিগ্নেচার ক্লাব পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে সর্বস্তরের জনগণকে শুভেচ্ছা জানালেন গাজীপুর সিগ্নেচার ক্লাব পবিত্র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা জানালেন ছাত্রনেতা এম আরিফুল ইসলাম বেড়ায় ক্রমাগত নদী ভাঙনে নিঃস্ব চরাঞ্চলের মানুষ ঈদ আযহা’র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সেচ্ছাসেবকদলের নেতা আরিফুল ইসলাম উল্লাপাড়ায় অসুস্থ জুবায়ের পাশে মাওলানা রাফিকুল ইসলাম খান উল্লাপাড়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘষে আহত ১৫ গাজীপুরসহ দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল সহযোদ্ধাদের পাশে থাকবে এনসিপি- প্রধান সমন্বয়কারী রকিবুল হাসান

অভিজ্ঞতা বাড়ল বাংলাদেশের, বিনিয়োগ-বাণিজ্যে নতুন আশা

রিপোর্টারের নাম : / ২৪০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক প্রদর্শনী এক্সপো-২০২০-এর ইতি টেনেছে আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণীয় করে রাখা হয় ছয় মাসব্যাপী মেলার শেষ দিনটি। এয়ার শো, মুহুর্মুহু আতশবাজি আর তারকাখচিত সাংস্কৃতিক আয়োজনে দুবাইয়ের জেবল আলি এক্সপো অঞ্চল রাত-ভোর মোহিত করে রাখে দর্শনার্থীদের। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম।

এ আয়োজন থেকে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করার কথা বলেছেন বাংলাদেশের সংশ্নিষ্টরা। তাদের আশা, এখন বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক পরিধি বৃদ্ধি ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাবে বাংলাদেশ।

১৮২ দিনের এই মেলা শুরুর আগে আয়োজকরা ২৫ লাখ দর্শনার্থীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। করোনার কারণে মাঝপথে দর্শনার্থী কমলেও গত ২৯ মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২২ লাখ ৯০ হাজার দর্শনার্থী টানতে সক্ষম হয় দুবাই এক্সপো। শেষ দুই দিনে আরও ১০ লাখ অতিক্রম করার কথা। ভবিষ্যৎ পৃথিবী কেমন হবে তার সম্মুখ ধারণা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় বন্ধ হয় এক্সপোর দুয়ার। ২০২৫ সালে বৈশ্বিক এই বাণিজ্যিক প্রদর্শনীর পরবর্তী আসর বসবে জাপানের ওসাকায়।

গত অক্টোবরে শুরু হওয়া দুবাই এক্সপো বাংলাদেশসহ ১৯২টি দেশ অংশ নেয়। স্থান পায় ২০০টির বেশি প্যাভিলিয়ন। ভাড়া করা প্যাভিলিয়নে অংশ নেয় বাংলাদেশ। প্যাভিলিয়ন ভাড়া, অবকাঠামো নির্মাণসহ বাংলাদেশের ব্যয় হয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ নিজেদের প্যাভিলিয়নে ডিজিটাল মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ, প্রতিযোগিতামূলক ও দক্ষ জনশক্তির প্রাপ্যতা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, সাফল্যের গল্প, ডেলটা প্ল্যান (ব-দ্বীপ পরিকল্পনা), ভিশন-২০২১ ও ২০৪১, সংস্কৃতি, পর্যটন সম্ভাবনা, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, যোগাযোগ ও জীববৈচিত্র্য প্রভৃতি প্রদর্শন করে। এ ছাড়া এক্সপোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয় দিবস উদযাপন নিয়ে ছিল বাংলাদেশের চমকপ্রদ আয়োজন।

আয়োজকরা জানান, এক্সপোতে অংশ নেওয়া দেশ, দর্শক ও সংশ্নিষ্ট সবার অভিজ্ঞতা বেড়েছে, যা ভবিষ্যতের প্রয়োজনে কাজে লাগবে। একই সুরে নিজেদের প্রাপ্তির বর্ণনা করেন দেশটিতে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা।

মিশন কর্মকর্তারা বলেন, এবারের আসরে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এই প্রদর্শনী পৃথিবীর কাছে নতুন এক বাংলাদেশের পরিচিতি এনে দিয়েছে। ছয় মাসের মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেছে প্রায় ১৮ লাখ দর্শনার্থী। শেষ দিকে প্রতিদিন প্রায় ১০-১৫ হাজার দর্শনার্থী প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেছে। মেলায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতির লক্ষ্যে ২৭টি আলাদা সেমিনার হয়েছে। এসব সেমিনারে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা অংশ নেন। ফলে আশা করা যায়, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক পরিধি বাড়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও অর্থ মন্ত্রণালয় জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিতব্য এক্সপোতে আরও ভালো করতে পারবে।

দুবাই এক্সপোর পর্দা নামলেও নিজেদের কাজ এখনও বাকি জানিয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান বলেন, এক্সপো শেষ হলেও আমাদের কাজ শেষ হয়নি। দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে প্যাভিলিয়ন খুলে নিতে হবে। সব আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে। ভাড়া প্যাভিলিয়নে এত বড় আয়োজন আমাদের জন্য একটি বড় অভিজ্ঞতা। এর আগে বাংলাদেশ কখনও এভাবে প্যাভিলিয়ন নিয়ে অংশ নেয়নি।

এক্সপো থেকে প্রাপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে বিনিয়োগে আগ্রহীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বিশেষ করে পাটজাত পণ্য, চমড়া শিল্পে ব্যাপক চাহিদার কথা জানতে পেরেছি। আগামী তিন-চার মাস আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে দিব।

দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, এই প্রথম এক্সপোতে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে অংশ নিয়েছে। এটি নতুন অভিজ্ঞতা। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সব সূচকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনে আসে।

তিনি আরও বলেন, এক্সপোতে অংশ নেওয়া ১৯২টি দেশের মধ্যে বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে ৪১ নম্বরে। এ ছাড়া পৃথিবীর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে পঞ্চম অবস্থানে বাংলাদেশ। জিডিপিতে আয়োজক দেশ আরব আমিরাত থেকে ছয় বিলিয়ন বেশি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি মানুষের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে প্যাভিলিয়নগুলোর আকার ও ধরন অনুসারে পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। জুবিলি পার্কে এ অনুষ্ঠানে মোট ৫১টি স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পায় বিজয়ীরা। স্বর্ণ পদক অর্জন করে সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, জাপান, পেরু, মরক্কো, মেপিকো, টোঙ্গা, সেশেলস, হোলি সে, জার্মানি, ওমান, মালয়েশিয়া, সিরিয়া, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন ও এল সালভাদোর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর