বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুড়িগ্রামে কমিউনিটি নেতা ও যুব ফোরাম এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত কোনাবাড়ীতে ঝুট গোডাউনে লাগা আগুন দেড় ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে কোনাবাড়িতে প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ কোনাবাড়ীতে ঝুট গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট নাগেশ্বরীতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে কারখানা খোলার দাবিতে গণ সমাবেশ শুরু  ভূরুঙ্গামারীতে ৩ ইটভাটার ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা সুন্দরগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড! গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় আওয়ামিলীগ নেতা গ্রেফতার কুড়িগ্রামে বিএনপির ৯টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা থাকছে না

রিপোর্টারের নাম : / ৩৪১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

২০২৩ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা আর থাকছে না। তবে পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন নিয়মে মূল্যায়ন করা হবে এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষাভীতি দূর করা এবং পাঠদানে আনন্দ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে পরীক্ষা না থাকলেও মেধা যাচাইয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নে বেশকিছু কৌশল অবলম্বন করা হবে। কৌশলগুলো হচ্ছে- মৌখিক প্রশ্নোত্তর, লিখিত প্রশ্নোত্তর, পর্যবেক্ষণ, প্রকল্প/ব্যবহারিক, একক কাজ, জোড়ায় কাজ ও দলগত কাজ, সাক্ষাৎকার, স্বমূল্যায়ন এবং সতীর্থ/সহপাঠী কর্তৃক মূল্যায়ন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন বছরে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত সব ধরনের পরীক্ষা তুলে দেয়ার ঘোষণা আগেই দেয়া হয়েছিল। বিশেষ করে পরীক্ষা না নিয়ে জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিয়ে ‘সক্রিয় শিখন পদ্ধতিতে’ শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকরা। সূত্র আরো জানায়, সাময়িক পরীক্ষার পরিবর্তে চার মাস পরপর বছরে তিনবার শিক্ষার্থীদের শিখন অগ্রগতি প্রতিবেদন নামে একটি ‘রিপোর্ট কার্ড’ দেয়া হবে। এতে শিক্ষার্থীর অবস্থা অনুযায়ী ‘সন্তোষজনক, উত্তম ও অতি উত্তম’ লেখা থাকবে।
যদিও বর্তমানে বছরে তিনবার প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক বা অর্ধবার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে এসবের কিছুই থাকছে না, স্কুলেই হবে সব পড়াশোনা। পাশাপাশি সময়নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আচার-আচরণ, দলীয় ও একক কাজে অংশগ্রহণ এবং বিশেষ পারদর্শিতা ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে।

একজন শিক্ষার্থী স্কুলে এসে কী করে, কিভাবে হঁটাাচলা করে, কিভাবে পড়াশোনা করে, কিভাবে শিক্ষক ও সহপাঠীদের সাথে কথা বলে, খেলাধুলা কিংবা অন্যান্য বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ কেমন- তার সবই মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকরা।

অর্থাৎ স্কুলে শিক্ষার্থীর প্রতি মুহূর্তের কর্মকাণ্ডই মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকরা। আর একেই ধারাবাহিক মূল্যায়ন বা সক্রিয় শিখন পদ্ধতির মূল্যায়ন বলা হচ্ছে। এই মূল্যায়নের জন্য পাঠ্যবইও পরিবর্তন হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইংয়ের সদস্য অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়ালেখার ধারা ও মূল্যায়নে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাভীতি থেকেও মুক্ত হবে। নতুন এই পদ্ধতির জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে সাতটি বিষয়ে তিনটি বই পড়ানো হবে এবং তৃতীয় শ্রেণীতে আটটি বিষয়ে ছয়টি বই পড়ানো হবে।

তিনি বলেন, নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি নিয়ে চার মাস পরপর অভিভাবকদের সাথে কথা বলবেন শিক্ষকরা। ওই সময়ই অভিভাবকদের জানাতে হবে শিক্ষার্থীর কোথায় কোথায় ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পোষাতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘নিরাময়মূলক ক্লাস’ করবেন শিক্ষকরা। এজন্য শিক্ষকদের যা যা কৌশল নিতে হবে তাও শিক্ষক গাইডে এনসিটিবি থেকে বলে দেয়া হবে।

জানা গেছে, ধারাবাহিক মূল্যায়নের চারটি ধাপ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- পরিকল্পনা প্রণয়ন, মূল্যায়ন পদ্ধতি, মূল্যায়ন পরিচালনা ও তথ্য সংরক্ষণ, সংগৃহীত তথ্য-বিশ্লেষণ করে কার্যকর ফলাবর্তন দেয়া। ধারাবাহিক মূল্যায়নে যে কৌশলগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- মৌখিক প্রশ্নোত্তর, লিখিত প্রশ্নোত্তর, পর্যবেক্ষণ, প্রকল্প/ ব্যবহারিক, একক কাজ, জোড়ায় কাজ ও দলগত কাজ, সাক্ষাৎকার, স্বমূল্যায়ন, সতীর্থ/ সহপাঠী কর্তৃক মূল্যায়ন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধারাবাহিক মূল্যায়ন শিখন-শেখানো কার্যাবলির অংশ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর শিখন নিশ্চিত করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর