দক্ষিণখানে ক্রেতার ছুরিকাঘাতে দোকানির মৃত্যু
রাজধানীর দক্ষিণখানে বাকি না দিতে চাইলে দোকানিকে ছুরিকাঘাতে দোকানির মৃত্যু হয়েছে । নিহত দোকানির নাম মো. রাফসান (১৭)। এ ঘটনায় এক কিশোর তৌফিক (১৬) কে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে দক্ষিণখান থানাধীন গাওয়াইর কলাবাগের ‘আল আমিন টি-স্টোর’ নামের এক দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই যুবক নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ উপজেলার অবিরামপুর গ্রামের মুসলেম হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি গাওয়াইর স্কুল রোড ব্যাংক কলোনির মানিক মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া । অপরদিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার কিশোরের বাড়িও একই এলাকায়। সে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য বলে জানিয়েছে থানা-পুলিশ।
ঘটনাস্থলের বাসিন্দারা বলেন, ভিকটিম রাফসান ও তাঁর বড় ভাই আল-আমিন মিলে চায়ের দোকানটি পরিচালনা করত। হত্যাকারী তাঁদের পূর্ব পরিচিত। দোকানি রাফসান হত্যাকারীর কাছে টাকা পেত। সেই টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে রাফসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ সময় হত্যাকারীর সঙ্গে আরও তিন থেকে চারজন ছিল। ঘটনার পরপরই তাঁরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ভিকটিম ও ওই কিশোর একে অপরের পূর্ব পরিচিত। মঙ্গলবার তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরদিন বুধবারও কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দোকান থেকে ছুরি নিয়ে ভিকটিমকে ছুরিকাঘাত করে। পরে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরকে দক্ষিণখান থানার এসআই (উপপরিদর্শক) মোছা. রেজিয়া খাতুন আটক করেছেন।
এসআই মোছা. রেজিয়া খাতুন বলেন, ভিকটিমের দোকানে গিয়ে পান চায় ঐ কিশোর। পান দিতে দেরি করায় তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে রাফসানের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করা হয় ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়।
এদিকে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আফতাব উদ্দিন শেখ বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ছিল চায়ের দোকানের আদা কাটার ছুরি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।