পেট্রোল পাম্পে একজনকে মারধর, দিগম্বর হয়ে দৌড়!
তেলের দাম হঠাৎ বৃদ্ধিতে সিরাজগঞ্জের মিরপুর পেট্রোল পাম্পে শত শত যানবাহনের ভিড় জমে। ফলে তেল দেওয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি ও পেট্রোল পাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে এক ব্যক্তিকে বেদম মারধরের ঘটনা ঘটলে তিনি পোশাক খুলে ফেলে দৌড়ে পালাতে বাধ্য হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে পৌর এলাকার মিরপুর মহল্লায় মিরপুর ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে শনিবার (৬ আগস্ট) এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুক দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। অনেকেই দিগম্বর করার ঘটনাটিকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করে নিজ নিজ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তবে মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির পরিচয় কেউ জানাতে পারেননি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, রাতে হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়লে মিরপুর ফিলিং স্টেশনে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়। ঘুম থেকে উঠে মানুষ তেলের জন্য পাম্পে আসেন। বিশেষ করে বাইক ও ট্রাকের ভিড়ে দিশেহারা হয়ে যান পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তেল বিক্রি বন্ধ করে দিলে গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির একপর্যায়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক ব্যক্তিকে সেখানে থাকা কয়েকজন মারতে শুরু করেন। মারের হাত থেকে বাঁচতে ওই ব্যক্তি নিজের পোশাক খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে মিরপুর ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার বাবু খান বলেন, তেলের দাম বাড়ার খবরে মুহূর্তেই প্রায় পাঁচ শতাধিক বাইকার এসে পাম্পে তেলের জন্য সিরিয়াল দেন। ঘুম থেকে উঠে আসা প্রতি বাইকার টাংকি পুরো করে তেল নিতে চান। এমন পরিস্থিতিতে হিমশিম খেয়ে বাধ্য হয়ে আমরা তেল দেওয়া বন্ধ করে দেই। এতে গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হয়ে পাম্পে ভাঙচুর শুরু করেন। ভিড়ের মধ্যে এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। তবে সেই ব্যক্তি কে আর কারা কেন তাকে মারধর করলো বিষয়টি জানা যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মিরপুর ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। তবে কাউকে মারধর করা হয়েছে এমন অভিযোগ পাইনি।