বাউফলে শান্তি সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত

মাসুদ রানা, বাউফল, পটুয়াখালী: বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সমাবেশ-হরতাল- অবরোধের নামে অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপরাজনীতির প্রতিবাদে সূর্যমনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর বাজারে আজ ৩ নভেম্বর বিকাল ৪ ঘটিকায় বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সূর্যমনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি। কিভাবে নিরপরাধ মানুষজনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সবাই মনে রেখেছে। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত চক্র জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে গনহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যখন বিচার শুরু হয় তখনই এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি শুরু হয়। সে সময় ৪১৯টি ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ সদস্যসহ নিহত হয় ৪৯২ জন, আহত আড়াই হাজারের কাছাকাছি। এক একটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যেত হত্যা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিরোধিতা করে বিএনপি জোটের ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কেউ ভোলেনি। তখন শত শত যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়। পেট্রোল বোমার আঘাতে দগ্ধ মানুষের আহাজারিতে হাসপাতালগুলোর বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। পবিত্র উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায়ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি লাখ লাখ গাছও। নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং অফিসারসহ হত্যা করা হয় ২৬ জন নিরীহ মানুষকে। সারাদেশে ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তারা পূর্বের ন্যায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে শেখ হাসিনার কর্মীরা দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সোহেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম লিটন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজিল অভি সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।