শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন

সলঙ্গায় অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম : / ৭০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মামুনু রশিদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (৩৫)।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর নলুয়াদিঘী মৌজার চকনিহাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, জয়নাল আবেদীনের নিজ নামীয় ৩৬ শতক জমির মধ্যে হইতে ১৬ শতক জমি আবু বক্কার দলিল মূলে ক্রয় করে এবং বাকী ২০ শতক জমি আমার বাবা শামছুল হক দলিল মূলে ক্রয় করে। পরবর্তীতে আমার বাবা ও আবু বক্কার উক্ত ৩৬ শতক জমি ভোগ দখল করতে আসছিলেন। ভোগ দখল থাকা অবস্থায় আবু বক্কার তার সাংসারিক টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আবু বক্কারের ক্রয়কৃত ১৬ শতক জমি আমার বাবার শামছুল হক জীবিত থাকা অবস্থায় দলিল মূলে ১৬ শতক জমি ক্রয় করে। জমি ক্রয় করার পর থেকেই আমার বাবা-দুইটি দলিল মিলে মোট-৩৬ শতক জমি দলিল মূলে প্রাপ্ত হয়। আমার বাবা ৩৬ শতক জমি হাল-চাষ করা অবস্থায় মারা যায়। পরে ওই জমিতে আমরা ওয়ারিশগন মালিক হইয়া ৩৬ শতক জমির খাজনা খারিজ পরিশোধ করিয়া আমরা হাল-চাষ এবং চাষাবাদ করতে থাকি। হাল-চাষ এবং চাষাবাদ করাকালে অবৈধ স্বার্থের লোভে খলিল গং বিভিন্ন সময় হত্যাসহ হুমকি প্রদান করে আসছে।  জমির উপর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা রয়েছে।
যাহার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সিরাজগঞ্জ এম আর কেস নং-৩০৭ (অতিঃ)/২০২৫ইং। ধারা-ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নলুয়াদিঘী মৌজায় ৩৬ শতক জমিতে বেগুনের গাছ, পটল, মরিচ গাছ, ডেরোস গাছ নষ্ট করিয়া ক্ষতি সাধণ করে। ক্ষতির পরিমান ২ লক্ষ টাকা। অবৈধভাবে তারা আমাদের জমিতে ঘর তুলেছে এবং ফসল নষ্ট করে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগিয়েছে।
চকনিহাল গ্রামের খালিলুর রহমানের ছেলে ছবুর আলী ও সুজাব আলীর ছেলে রেজাউল করিম বলেন,আমার বাপ দাদার পৈতৃক সম্পত্তি আমার  চাচা জয়নাল আবেদন বিক্রি করেছে আর এখানে সম্পূর্ণ জায়গা নেই সবার সম্পত্তি থেকেই বিক্রি করছে। তাই আমাদের জায়গায় আমরা ঘর উঠেছি ও গাছ লাগিয়েছি। এবিষয় টি নিয়ে একাধিকবার গ্রামে সালিশ বৈঠক হয়েছে। তারা কোন কাজ পত্র দেখাতে পারেনি।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর