সলঙ্গার রামকৃষ্ণপুরে পুকুর খননের হিড়িক, কমে যাচ্ছে তিন ফসলি জমি
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে, কমে যাচ্ছে তুন ফসিল কৃষি জমি। রামকৃষ্ণপুরের ভূমি অফিসের সামনে ও আশপাশে বলা চলে নাকের ডগার উপর দিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। এ যেনো দেখার কেউ নেই। জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও রামকৃষ্ণপুরে তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ।
স্থানীয়রা জানান,চৈত্রহাটি এইচ আর এম ব্রিকস এর মালিক বোরহান উদ্দিন কৃষকদের ফসলি জমিতে পুকুর খননের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষি জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে ১০ থেকে ১২ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চালাচ্ছেন। তিনি কৌশলে অন্যদের নাম ব্যবহার করে ফসলি জমি লিজ নিয়ে পরে সে নতুন চুক্তির ভিত্তিতে ভাটায় মাটি নেন। দিনরাত বিরতিহীন পুকুর খনন করে সেই মাটি ইটভাটায় সরবারহ করেন।
কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর তিন ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন ভাটার এই মালিক। শ্রেণিভেদে প্রায় সকল জমিতেই সারা বছর কোনও না কোনও ধরণের ফসল হয়। সেটাকে বাধাগ্রস্থ করে বিঘা প্রতি ৪০/৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১০ থেকে ২০ বছর মেয়াদী চুক্তি করে সেটাকে পুকুরে রুপান্তরিত করছে। আর খননকৃত সেই মাটি যাচ্ছে ভাটায়। পুকুর খননের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলেও বিশেষ করে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আশপাশ যেমন উনুখা, পুকুরপাড়,দবিগঞ্জ,পাঠানপাড়া,জালশুকা ও আগরপুর গ্রামে পুকুর খননের প্রবণতা বেশি। ইতোমধ্যেই হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে।
বর্তমানে পাঠানপাড়া ও আগরপুর গ্রামে পুকুর খননের কাজ চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে চৈত্রহাটি এইচ আর এম ব্রিকস এর মালিক বোরহান উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,আমি নিজেই ডিট করে পুকুর খনন করছি,আমার মামার সাথে কথা বলে আপনাদের সাথে কথা বলবো।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’- ভূমি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে স্কেবেটার মেশিন দিয়ে যারা পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করছে ইউএনও স্যারের সাথে পরামর্শ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: উজ্জল হোসেন বলেন, তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।