গাজীপুরের কাশিমপুরে আঞ্চলিক সড়কের ম্যানহল যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার মাঝখানের ম্যানহলের ঢাকনা নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন উদাসীনতায় যেন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যানবাহন চালকরা। যেগুলোর ঢাকনা আছে কোথাও খোলা,কোথাও উঁচু-নিচু থাকছে দিনের পর দিন। জানা গেছে,গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অঞ্চল-৮ এর মাঝে প্রায় ২ শতাধিক ম্যানহোল রয়েছে। যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ব্যস্ততম আঞ্চলিক সড়কজুড়ে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ,মহানগরীর কাশিমপুরের ২ নং ওয়ার্ডের মাদারগেট হতে লতিপুর আঞ্চলিক সড়কে দুটি দুর্ঘটনা প্রবণ ম্যানহল রয়েছে। এছাড়াও ৩ নং ওয়ার্ডের মোল্লা মার্কেট থেকে বাগানবাড়ী রোড পর্যন্ত সড়কে ম্যানহোল উঁচু-নিচ অবস্থায় রয়েছে। ব্যস্ততম এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। বারেন্ডা (সবুজ কানন) থেকে এনায়েতপুর হয়ে জেলখানা রোড, মিশন গেট থেকে লতিফপুর জোড়া ব্রিজ,এনায়েতপুর স্কুল মার্কেট হতে মিন্টুর বাড়ীর রোড এলাকায় ঢাকনাযুক্ত অনেক ম্যানহোল রয়েছে,যেগুলো সড়কের সমতলের নয়।এছাড়াও এনায়েতপুর সড়কেও রয়েছে অন্তত তিনটি দুর্ঘটনাপ্রবণ ম্যানহল। কাশিমপুরের প্রতিটি সড়কেরই যেন একই চিত্র।
ম্যানহল ব্যবস্থাপনার বিষয়ে অঞ্চল ৭ ও ৮ এর নগর পরিকল্পনাবিদ সানজিদা হক বলেন,ম্যানহলে সিমেন্টের ঢাকনা বসানোর জন্য রাস্তায় গাড়ির চাপে ভেঙে পড়ে যায়। এজন্য মানসম্মতভাবে রাস্তার সমানে লোহার ঢাকনা স্থাপন করলে ম্যানহোলের দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকবে নগরবাসী।
মাদারগেট হতে লতিফপুর আঞ্চলিক সড়কের ইজিবাইকের চালক আব্দুর রাজ্জাক নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, রাস্তার মাঝে ম্যানহল বিপজ্জনক। উঁচু-নিচু হওয়ায় অনেকেই ম্যানহলে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখ জনক।
এসব দুর্ঘটনার বিষয়ে এক অটোরিক্সা চালক মোয়াজ্জেম মিয়া বলেন,যেসব এলাকার রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলে, সেগুলোর ম্যানহলের অবস্থা যদি এ রকম হয়,তাহলে তা চিন্তার বিষয়। ম্যানহলগুলো অনিরাপদ থাকলে দুর্ঘটনা তো ঘটবেই।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৮ জোনের প্রকৌশলী এ.কে.এম. হারুনুর রশীদ বলেন, কোথাও যদি ম্যানহল ভেঙে গিয়ে থাকে, তাহলে অতি দ্রুতই এগুলো সংস্কার করা হবে। এছাড়াও ম্যানহলের ঢাকনা সমস্যা দূর করতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।