শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

চা-বাগানে ফিরেছে পুরোনো কর্মচাঞ্চল্য

রিপোর্টারের নাম : / ১৩৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২

৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা আন্দোলনের পর চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৭০ টাকা মজুরিতে চা-বাগানে শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ শুরু করেছেন।

গতকাল সোমবার (২৯ আগস্ট) কমলগঞ্জের কয়েকটি চা-বাগান ঘুরে দেখা যায়, চা-বাগানের টিলাগুলোতে নারী শ্রমিকরা চা-পাতা উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চা-গাছে গজানো অনেক পাতা শক্ত হয়ে গেছে। তারপরও ওপরের কচি পাতা উত্তোলনে তারা মরিয়া। শমশেরনগর বাগানের বানী চাষা, আদামা রেলী বলেন, নিরিখ (২০ কেজি) পুরো করতে চেষ্টা করছি। কিছু পাতা শক্ত। তাই কচি পাতা তুলতে হচ্ছে। ১৬ দিন পরে কাজে ফিরছি। এর মধ্যে কোনো মজুরি ও রেশন নেই। ঘরে খাবার শেষ। সন্তানাদি নিয়ে খাবারের জন্য কষ্ট হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন।

শমশেরনগর কানিহাটি চা-বাগানের শ্রমিকনেতা সীতারাম বীন বলেন, চা-শ্রমিকদের ঘরে এখন কোনো খাবার নেই। খুবই কষ্টে আছেন। তাই শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার টাকা হারে ও এক সপ্তাহের রেশন দ্রুত প্রদান করার জন্য চা-বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি।

গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা ঘোষণা করা হয়। এরপর দিন রবিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। কিছু কিছু চা-বাগানে রবিবার কাজ হলেও অনেক বাগানে কোনো কাজ হয়নি। সোমবার সবকটি চা-বাগানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছেন। চা-বাগানগুলোতেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। তবে শ্রমিকদের ঘরে খাবার না থাকায় তাদের অনেকের চেহারায় প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়নি।

প্রতি দুই বছর অন্তর চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও বর্তমানে ২০ মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী ১৭০ টাকা মজুরি ঘোষণা করলেও চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক পক্ষের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে চা শ্রমিকদের অন্যান্য সুবিধাদিও আসার কথা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর