বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভাঙ্গুড়ায় কাবিটা ও টিআর প্রকল্পের কাজ ইউএনওর পরিদর্শন ভাঙ্গুড়ায পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক লালমনিরহাটে ঘুষ বানিজ্যকারী নাজিরকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কামারখন্দে দরবার শরীফের সম্পদ আত্মসাতের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উল্লাপাড়ায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভাঙ্গুড়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইউনিয়ন কৃষকদলের আহব্বায়ককে অব্যাহতি কাজিপুরে আ’লীগের মশাল মিছিল; ফেসবুকে ভাইরাল  কুড়িগ্রামে চরাঞ্চল মানুষের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ‘সুস্বাস্থ্য’ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের যাত্রা শুরু নাটোরে বিএসটিআই’র অভিযানে তিন বেকারি কারখানাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক,সাধারণ সম্পাদক রনজক রিজভী

তাড়াশের বারুহাস মেলায় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত টোকেনে খাজনা আদায়ের নামে চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতিবছরের মতো এবারও বৈশাখ উপলক্ষ্যে বারুহাস গ্রামে তিনদিন ব্যাপি মেলা বসেছে। কথিত আছে, প্রায় দেড় শত বছর আগে জমিদার আমলে গড়ে উঠা চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী বারূহাস মেলা। মেলাটি বাঙালি সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের প্রতীক হয়ে আছে। তিনদিনের মেলা হলেও আসলে তা সপ্তাহ গড়ায়।

তবে কাঠের মেলা ভাঙতে আরো কয়েকদিন সময় লাগে। গত ২ বছরে করোনা মহামারীতে মেলা বন্ধ থাকায় এবছরে জাকজমকপূর্ণ ভাবে মেলা বসেছে। সরেজমিনে এ মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, বারুহাস ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত টোকেন ব্যবহার করে তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে অবৈধ খাজনা আদায় করছেন। অনেক ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের নিজস্ব বাহিনীর লোকজনের হাতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা হেনস্থা ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন।

চেয়ারম্যানের নিজস্ব বাহিনী খাজনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বলেও অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চোখের সামনে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত রসিদে খাজনা আদায় করছেন। ক্রেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, মেলায় সরকারি ভাবে ডাক না হলেও বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার নিজস্ব লোকজন স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় আগত দোকান মিষ্টি ও ঝুড়িপট্টি, রসুন পিয়াজ, আদা-মরিচ, খেলনা, কসমেটিক্স, ঘুড়ি, ফার্নিচার কিনতে আসা ক্রেতাদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান ময়নুল হকের স্বাক্ষরিত টোকেনের মাধ্যমে অবৈধভাবে খাজনার নামে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে।

এতে করে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দোকানদার অতিরিক্ত খাজনার ভয়ে অনেক দোকানদার বারুহাস গ্রামের আশে পাশে যেমন, বিনোদপুর বাজার, সাচানদিঘী গ্রাম, কোহিত মোড়ে, হেদারখাল, মনোহরপুর ও দিঘরিড়া বাজার সহ তাড়াশ-সিংড়া রাস্তার পাশ দিয়ে দোকান বসেছে। শাহজাদপুর থেকে আগত ঝুড়ি ব্যবসায়ী মোঃ রহমত আলী বলেন, আমার ছোট দোকান থেকে জোড়পূর্বক ১ হাজার দুইশত টাকা চেয়ারম্যানের লোকজন খাজনা আদায় করেছে। তালম গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ী মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকারী রশিদ নাই, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত টোকেন দিয়ে ১ হাজার পাঁচশত টাকা খাজনা নিয়েছে।

এতে বাঁধা দিলে আমাকে প্রাণের ভয় দেখায় এবং আমার দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট করার হুমকি দেয়। এবিষয়ে বারুহাস ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই, চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে খাজনা আদায় করছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ময়নুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে তিনি জানান. আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আমি আমার লোকজন দিয়ে মেলার খাজনা আদায় করবো। তবে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে না।

এবিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, মেলা বসানোর অনুমতি দেয়া হয়নি। সহকারি কমিশনার (ভূমি) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, খাস কালেশান, সরকারী আয়। ভূমি অফিসের লোকজন দিয়ে আদায় করা হয়। এতে চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের কোন প্রকার অংশ গ্রহন নাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর