রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভাঙ্গুড়ায় এসএসসি ২০১০ ব্যাচের বন্ধু-বান্ধবীর মিলন মেলা অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে সর্বস্তরের জনগণকে শুভেচ্ছা জানালেন গাজীপুর সিগ্নেচার ক্লাব পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে সর্বস্তরের জনগণকে শুভেচ্ছা জানালেন গাজীপুর সিগ্নেচার ক্লাব পবিত্র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা জানালেন ছাত্রনেতা এম আরিফুল ইসলাম বেড়ায় ক্রমাগত নদী ভাঙনে নিঃস্ব চরাঞ্চলের মানুষ ঈদ আযহা’র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সেচ্ছাসেবকদলের নেতা আরিফুল ইসলাম উল্লাপাড়ায় অসুস্থ জুবায়ের পাশে মাওলানা রাফিকুল ইসলাম খান উল্লাপাড়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘষে আহত ১৫ গাজীপুরসহ দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল সহযোদ্ধাদের পাশে থাকবে এনসিপি- প্রধান সমন্বয়কারী রকিবুল হাসান

দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ১৩৭ শ্রমিকের ঢাকা ত্যাগ

রিপোর্টারের নাম : / ১৯৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২

দক্ষিণ কোরিয়ায় আবারো বাংলাদেশের এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমে (ইপিএস) শ্রমিক যাওয়া শুরু হয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার রাত ১১টায় কোরিয়ান এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১৩৭ শ্রমিক ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে ইপিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাঝারি ও নিম্ন-দক্ষ বিদেশী কর্মী নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ১৬টি দেশের আহ্বান ও অনুরোধে সাড়া দিয়ে আবারো সীমিত পরিসরে শ্রমিক নেয়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়লে দক্ষিণ কোরিয়া বিদেশী শ্রমিক নেয়ার কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ২১ মাস পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে আবারো শ্রমিক যাওয়া শুরু হয়। মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসার পর ৩৫৩ জন বাংলাদেশী ইপিএস শ্রমিক কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যান। গত মাসে পাড়ি জমান আরো ১৫০ জন শ্রমিক।

তবে চলতি বছরে যে ৯২ জন কর্মী দেশটিতে গেছেন তার মধ্যে ৪৪ জন নতুন নিয়োগ পাওয়া। বাকি সবাই পুরনো শ্রমিক। গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিস্টরা জানান, বুধবার রাতের ফ্লাইটে সিউল পৌঁছা বাংলাদেশী কর্মীদের একজন পারভেজ হাওলাদার বলছেন, সব ধরনের বিপদ আপদ শেষেই আমরা সুন্দরভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মস্থলে পৌঁছতে পেরেছি।

সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং গুন বলেছেন, বাংলাদেশী শ্রমিকরা কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নয় কোরিয়ান শিল্পেও শ্রমশক্তি সরবরাহে অবদান রেখেছে বাংলাদেশী শ্রমিকরা। তিনি বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি ইপিএস শ্রমিক নেয়া হবে বলেও আশার কথা জানান। বলাবাহুল্য, এই পদ্ধতিতে ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক দক্ষিণ কোরিয়াতে পাড়ি জমিয়েছেন বলে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
এ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, যেসব বাংলাদেশী শ্রমিক কোরিয়ায় সফলভাবে কাজ শেষে দেশে ফিরে গেছেন তাদের ই-৭ ভিসায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।

দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান মিসপি সরেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ই-৯ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় যেসব শ্রমিক সফলভাবে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে বাংলাদেশে ফিরে গেছেন এবং যাদের ওয়েল্ডিং ও পেইন্টিংয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের ই-৭ ভিসায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস চেষ্টা করে যাচ্ছে। দূতাবাস ওয়েল্ডিং ও পেইন্টিংয়ের কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ডাটাবেস প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছে। বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারীদের বিজ্ঞপ্তির সাথে প্রদত্ত গুগল ডকসে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়েল্ডিং অথবা পেইন্টিংয়ের কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াও বাংলাদেশের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী ও বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০-৪৫ এর মধ্যে থাকার শর্ত দেয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর