নিম্নমানের পঁচা ইট দিয়ে প্রকল্পের ঘর বানানোর অভিযোগ
শাহজাদপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুরে সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৫ টি ঘর নির্মাণের জন্য গভীর রাতে কুষ্টিয়া থেকে ট্রাক ভর্তি করে নিম্নমানের ভূষা পঁচা ইট এনে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেইসাথে বাতিল ইটের সুড়কি, নামমাত্র সিমেন্ট এবং মাটি মিশ্রিত বালি দিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব ঘর।
এদিকে ঘর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত প্রধান মিস্ত্রি মানিক সাংবাদিকদের জানান, সত্যি ইট খুব খারাপ। তবে আমাদের কিছু করার নেই। সাহেবের নির্দেশ দ্রুত এই ইটগুলো (ভূষা) কাজে খাটিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা সেই নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুরে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের নির্মাণ কাজে নিম্ন মানের সুড়কি, স্বল্প পরিমাণ সিমেন্ট, মাটি মিশ্রিত বালি আর নিম্নমানের পঁচা ভূষা গলে যাওয়া ইট দিয়ে ঘরের দেওয়াল তোলা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন এভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ হলে কাজ শেষের আগেই হুড়মুড় করে ধ্বসে যেতে পারে ঘরগুলো। সেইসাথে তারা কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরেও সেসব কথা কর্ণপাত না করে পিআইও মিস্তিরিদের নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত পঁচা ইটগুলো খাটিয়ে দেওয়ার জন্য।
উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযোগ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা এবং কমিউনিটি নেতা আবু বক্কর বলেন, সুদূর কুষ্টিয়া থেকে রাতের অন্ধকারে গলে যাওয়া পঁচা ইট ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে এসেছে। আমরা নামানোর সময়ই বাধা দিয়েছি। কিন্তু কোনকিছু না শুনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কোনরকমের ঘর তুলে সরকারের লাখ লাখ টাকা মেরে দেওয়ার পায়তারা করছে।
অপরদিকে শাহজাদপুর উপজেলা পিআইও অফিসে একাধিকবার গেলেও পিআইও আবুল কালাম আজাদকে পাওয়া যায়নি। অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে ঘরের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাইলে নানা টালবাহানায় এড়িয়ে যায় বিষয়টি। পরে মুঠোফোনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কিছু ইট খারাপ আসছে। তবে সেগুলো ব্যাবহার করা হবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, খারাপ ইটের বিষয়ে জেনেছি। নিম্নমানের ইট বাছাই করে সেগুলো বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছ।