সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া অবরুদ্ধ ১ পরিবার সলঙ্গায় চুরির ভাগের টাকার জন্য হোটেল কর্মচারী আরাফাত খুন, ২ জন গ্রেফতার আ.লীগের দোসর মামুনুর রশীদ এখন গাছা থানা জাসাসের আহ্বায়ক উল্লাপাড়ায় রাফান মটরসের কমিউনিটি মিট অনুষ্ঠিত কোনাবাড়ীতে মোবাইল চোর সন্দেহে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যা লালমনিরহাটে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির ফাইল গায়েবে জড়িতরা আজও অধরা! সলঙ্গায় আরাফাত নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার পুলিশের সঙ্গে জনগণের সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা পুলিশি কাজে সহযোগিতা করবে,ওসি আব্দুল হালিম ভাঙ্গুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে যুবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা  মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা সভা

বেনাপোল বন্দরের শেড থেকে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক

মনির হোসেন বেনাপোল প্রতিনিধি: / ১০০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪

বেনাপোল বন্দরের শেড থেকে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণের ভারতীয় পণ্য আটক করেছে কাস্টম।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে একটি চোরাকারবারিচক্র বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে পণ্য পাচারের জন্য খুলনা মেট্রো-ট ১১-২১৬৭ নং কাভার্ডভ্যানে লোড করার সময় তা হাতেনাতে আটক করেন কাস্টমসের একটি অভিযানিক দল। পণ্যের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

এ পণ্যচালানটির বিপরীতে আমদানি নীতির কোনো বৈধ বা অবৈধ কাগজপত্র বা দাবিদার না থাকায় আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের অভিযানিক দল। চালানটি একইদিন সকাল ১০টার দিকে ভারীয় ট্রাক থেকে বন্দরের ১৭ নম্বর শেডে নামানো হয়েছিলো।

স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেডের ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন, প্রতিদিন ভারতীয় গাড়ি থেকে পন্য সেডে লাবে।এবং বাংলাদেশ গাড়ি লোড হয়। এই পণ্য চালানটি কার তা আমি জাানি না। কিভাবে শেডে নামল তাও আমি বলতে পারি না। তবে সে ওই শেডের ইনচার্জ। কিন্তু ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হলে আমদানি-রফতানি গেটে ডকুমেন্টের ফাইলবন্দিসহ অনেক ধরণের আনুষ্ঠানিকতা থাকে এবং বন্দর ও কাস্টমসের অনেকগুলো দপ্তরে নথিভুক্ত করতে হয়। অবশেষে বন্দর অভ্যন্তরের বিভিন্ন শেডে ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্যর খালাশ করা হয়। একইভাবে বন্দর থেকে পণ্য খালাস নিতে আমদানি কারকের প্রতিনিধি সিএন্ডএফ এজেন্ট আমদানি নীতির প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র, ব্যাংকে পণ্য শুল্কায়নের রাজস্ব জমাসহ কাস্টম ও বন্দরে ইত্যাদি কাগজপত্র জমা দিয়ে বন্দরের গেইট পাশ নিয়ে শ্রমিক দিয়ে পণ্য ট্রাকে লোড করা হয়। সেখানে এতোগুলো নিয়মের বাহিরে কিভাবে এই অবৈধ পণ্য বন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৭ নম্বর শেডে নামানো হলো। কারগো শাখা এ ব্যাপারে বলতে পারবে। কাগজপত্র ছাড়া কারগো শাখার কোন গাড়ি বাংলাদেশের প্রবেশ করে না। এবং এখান থেকে খালাসের প্রস্তুতি নেয়া হলো’। , আমার এখানে প্রান্ত নামের একজন এনজিও কর্মী থাকে এবং সে মিয়ান নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ নামে এক বর্ডারম্যানের সহযোগিতায় আমার অনুপস্থিতিতে ১৭ নম্বর শেডে ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য আনলোড করেছিলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেনাপোল বন্দরের কিছু ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি চোরাকারবারি চক্র বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে আমদানির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভারত থেকে বৈধপথে নিয়ে আসে এমনই বিভিন্ন ধরণের অবৈধ পণ্য। তা আবার আমদানি নীতির মধ্যে রেখে কেবল সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকতা, শেড ইনচার্জের সহযোগিতায় শেড অভ্যন্তরে রাখা হয় এবং সময় বুঝে তা পরিবহনে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যায়। যার মধ্যে বন্দরের ১৭ নম্বর শেড ইনচার্জের বেপরোয়া এমন সহযোগিতায় রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছে এখানকার সদ্য আমদানি-রফতানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট নামের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরের কার্গো শাখাসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এখানে কোথাও পণ্য চালানটির অর্ন্তভুক্তি বা এখানে মিয়ান নামের কোন সিএন্ডএফ এজেন্টের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। একইসাথে ওই সিএন্ডএফ’র বর্ডারম্যান আব্দুল্লাহ নামের কোনো কর্মচারী নেই।

এ পণ্য আটকের সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে আমদানিকৃত এসব পণ্যের বিপরীতে কোনো কাগজপত্র এমনকি এ পণ্যের দাবিদার বলে কোন মালিক পাওয়া যায়নি। তবে, চালানটিতে কি পরিমাণ পণ্য আছে তা ওজন করে পরবর্তীতে জানানো যাবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর