মাওয়ায় হবে পদ্মা সেতু জাদুঘর
পদ্মা সেতু নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বিপুল। নানা পরিসরে এ নিয়ে আলোচনা আছে। মুশকিল হলো জনপরিসরের অধিকাংশ আলোচনাই শেষে মিথের পথে হাঁটে। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও এমনটি হচ্ছে। এ কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে এর মাওয়া প্রান্তে নির্মাণ করা হবে জাদুঘর, যার নাম হবে ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর’। এ জাদুঘরের জন্য এরই মধ্যে দুই হাজারের বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে এ জাদুঘর নির্মাণের কথা আগে থেকেই ছিল। সেতু উদ্বোধনের সময়ই এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো এর নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। আগামী বছর এই জাদুঘরের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
এই জাদুঘর নির্মাণে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর। চুক্তি অনুযায়ী, এ জাদুঘর নির্মাণে ব্যয় হবে ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। ৬০ মাসের মধ্যেই এ কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
বিশেষ এই জাদুঘরে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের নানা বিষয় সংরক্ষণ করা হবে, যাতে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পর্কে যে কেউ ধারণা পেতে পারেন। এরই মধ্যে এই জাদুঘর নিয়েও মানুষের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।
কেমন হবে এই জাদুঘর?
প্রকল্প দপ্তর বলছে, পদ্মা সেতু জাদুঘরে দুটি বিষয় প্রাধান্য পাবে। প্রথমটি অবশ্যই এই সেতু নির্মাণের প্রকৌশলগত নানা দিক এবং দ্বিতীয়ত, পদ্মা নদী ও এর আশপাশের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত বিষয়াবলি। এর মধ্যে যতটা সম্ভব প্রকৌশলগত নানা নিদর্শন এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি এটি তৈরিতে যেসব প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে, সেসব সম্পর্কেও একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে নানা ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে। এ ছাড়া জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ পদ্মা এবং বিশেষভাবে সেতু এলাকার জীববৈচিত্র্য সম্পর্কেও থাকবে নানা তথ্য।
তবে জাদুঘরের নির্মাণকাজ এখনো শুরু না হলেও এর জন্য নমুনা সংগ্রহ কিন্তু থেমে নেই। পদ্মা সেতু নির্মাণের নানা ধাপে নানা ধরনের প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ধারণা দিতে শুরু থেকেই এর প্রকৌশলগত বিষয়াবলির নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৩৫৪টি বিভিন্ন ধরনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রকল্প দপ্তর।