লালমনিরহাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে আ’লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ!
দুই গ্রুপের সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগ।
রোববার(২১ আগস্ট) বিকেলে আদিতমারী জিএস মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়।
সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ এমপি’র নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি আদিতমারী জিএস মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠ থেকে বের হয়ে ৩/৪’শ গজ এগিয়ে শেষ হয়।
নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানান, বিগত উপজেলা পরিষদ ও সংসদ নির্বাচন নিয়ে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগ দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি এবং অপর গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সিরাজুল হক। দুই গ্রুপের অন্তঃদ্বন্দ্বে দলীয় প্রতিটি কর্মসুচি পৃথক পৃথক ভাবে পালন করে আসছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আদিতমারীতে পৃথক পৃথক কর্মসুচি গ্রহন করে দুই গ্রুপ। গত দুই দিন ধরে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে উত্তেজনাকর মন্তব্য লিখে আসছে।সমাজকল্যান মন্ত্রী গ্রুপ আদিতমারী জিএস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে এবং অপর গ্রুপটি আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষনা দেন।
প্রায় কাছাকাছি স্থান ও সময় দুই গ্রুপ কর্মসুচি ঘোষনা করায় সংঘাতের শ্বঙ্কা দেখা দেয়। সমাবেশ ঘিরে অনাকাঙখিত সংঘাত এড়াতে ৩ প্লাটুন পুলিশ দিনভর মোতায়েন করে প্রশাসন। অবশেষে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদ অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের হস্তক্ষেপে শেষ মুহুর্তে সমঝোতা হলে দুই কর্মসুচিই আদিতমারী জিএস মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রবিউল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সহ সভাপতি সিরাজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক মাইদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। তার সুনির্দিষ্ট পরিমান এ মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।