বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ইট ভাটার পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার জয়পুরহাটে জাকের পার্টির ঈদের নামাজ ও উন্মুক্ত খাবার পরিবেশন  শার্শায় ঈদের জামাতের সময় পরিবর্তন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত-৩ এবারই প্রথম ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুত বেনাপোল বলফিল্ড ময়দান কুড়িগ্রামে সাংবাদিকতার আড়ালে ফ্যাসিস্টদের সংঘটিত করার অপচেষ্টা সুন্দরগঞ্জে যতটুকু পারি সংগঠন এর ঈদ সামগ্রী বিতরণ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় ইফতার ও দুআ মাহফিল অনুষ্ঠিত বেড়ায় একতা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ঈদ সামগ্রী বিতরণ কুড়িগ্রামে ব্যবসায়িক লেনদেনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে কালবেলার সাংবাদিকের নামে ভূয়া সংবাদ পরিবেশন সাংবাদিক মন্জুর ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের পাশে এমপি প্রার্থী আইউবী

শার্শা উপজেলা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসব সমাপ্ত

মনির হোসেন বেনাপোল প্রতিনিধি / ৬৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌরসভা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব সমাপ্ত হয়েছে। এর আগে শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে শনিবার উপজেলা প্রতিটি মন্ডপে মহানবমী ও

রবিবার১৩অক্টোবর বিজয়া দশমী পূজা সম্পন্ন হয়। পূজার শেষ দিনে উপজেলায় মন্ডপগুলো ঢাক-ঢোল, কাঁসর ঘণ্টা, শাঁখের ধ্বনি ও ধূপের ধোঁয়া, আর ভক্তিমন্ত্রে মূখর হয়ে ওঠে। সেই সাথে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জায় উদ্ভাসিত হয়েছিল পূজামন্ডপগুলো।
এই দিনেই দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক (পৃথিবী) ছেড়ে ফিরে যাবেন স্বামীগৃহ কৈলাসে। দেবী দুর্গার বিদায়ে মন্ডপে মন্ডপে ছিল বিষাদের ছাযা। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় ছিল দেবীদুর্গার বিদায়ের সুর।

গত ৯ অক্টোবর ২০২৪ মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। আর ১৩ অক্টোবর ২০২৪ বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শারদীয় দুর্গাপূজার। সনাতন ধর্মাবলম্বি সম্প্রদায়ের লোকেরা গত ৫ দিন হাসি-আনন্দ আর পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন।
রবিবার বিকালে ও রাত ৯টার পর উপজেলার মন্দিরসহ ২৮টি পূজামন্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে বিসর্জনের জন্য, বিজয়া শোভাযাত্রা করে উপজেলা পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত নিজ এলাকায় । সেখানে গিয়ে একে একে নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। রাত ১০টায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়া শেষ হয়।
রীতি অনুযায়ী, সদবা নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দেবীদুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান। দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর সেই সিঁদুর প্রথমে সিঁথিতে দিয়ে পরে একে অন্যের সিঁথি ও মুখে ছোয়ান। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে দেবীদুর্গাকে বিদায় জানান, যা সিঁদুর খেলা নামে পরিচিত।
পৌরাণিক বর্ণনা অনুযায়ী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীদূর্গা তার সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ মর্ত্যলোক (পৃথিবী) থেকে কৈলাসে স্বামীর গৃহে ফিরে যাবেন। এর আগে মহালয়ায় তিনি মর্ত্যলোকে (পৃথিবীতে) পিতৃ গৃহে আগমন করেন। আসুরিক শক্তির বিনাশ আর শান্তি কল্যাণ ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য হিন্দু সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে দেবী দূর্গার আরাধনা করে আসছেন।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবীদুর্গা মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন গজে (হাতিতে) চড়ে। শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আসুরিক শক্তির বিনাশকল্পে বিশ্বব্যাপী মঙ্গল বার্তা নিয়ে দেবীদুর্গা এ সময়ে লোকালয়ে আসেন। গজে চড়ে দেবীর আগমনের অর্থ হলো শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা। মনে করা হয়ে থাকে, দেবী যদি গজে চড়ে মর্ত্যলোকে আসেন তাহলে তিনি সঙ্গে করে সুখ, সমৃদ্ধি নিয়ে আসেন। হাতি হচ্ছে জ্ঞান ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর বিজয়া দশমীতে দেবী মর্ত্যলোক ছাড়বেন নৌকায় চড়ে। নৌকায় চড়ে মর্ত্য ছাড়লে ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ হবে। পৃথিবী হয়ে ওঠে শস্য শ্যামলা। কিন্তু সেই সঙ্গে অতি বর্ষণ বা প্লাবনের আশঙ্কাও দেখা দেবে।

অন্যান্যবারের ন্যায় এবারে বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত হিন্দু-মুসলিম নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোর ছুটে আসে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে।
উল্লেখ্য, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া তথ্যানুযায়ী এবারে উপজেলা ২১টি বেনাপোল পৌরসভা ৭টি মোট ২৮টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর