শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন

সাত দফা দাবিতে রাঙ্গামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতাল চলছে

রিপোর্টারের নাম : / ১৪৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রাঙামাটিতে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ডাকা ৩২ ঘণ্টা হরতাল মঙ্গলবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। কোথায় অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সরেজমিন সকাল থেকে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। এ সময় হরতাল সমর্থকরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। হরতাল সমর্থনে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। যারা জরুরি কাজে বের হয়েছেন তাদের পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। হরতালের কারণে শহরের একমাত্র গণপরিবহন সিএনজি অটোরিকশা বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শহরের সাথে আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার সঙ্গে উপজেলাগুলোর লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এই ভূমি কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের ভূমি অধিকার কেড়ে নিতে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা কমিশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনও সমাধান হয়নি। তাই আমরা হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালে ভূমি কমিশন সংশোধন করা হয়, সেখানে সাত সদস্যরের মধ্যে পাঁচ জনই পাহাড়ি। এতে পার্বত্য অঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালির কোনও প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এই আইনে আপিল করার কোনও সুযোগ রাখা হয়নি। যার ফলে এই অঞ্চলের মানুষ ভূমি হারাবে।’

রাঙামাটি কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ হোসেন জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল চলছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাঙামাটিতে ভূমি কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে পার্বত্য ভূমি নিষ্পত্তি কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০১ সালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন’ করে সরকার। আইনটি ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়। কিন্তু আইন সংশোধনের পর কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। এই অবস্থায় থমকে আছে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ। আইনটি সংশোধনের পর কমিশন কাজ শুরু করে এবং বিরোধপূর্ণ জমির মালিকদের কাছে দরখাস্ত আহ্বান করে। কিন্তু বিধিমালা প্রণয়ন না হওয়ায় কাজে হাত দিতে পারেনি কমিশন। এরপর আসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। স্থবির হয়ে পড়ে তিন পার্বত্য জেলার ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর