শিরোনামঃ
দাঁড়ানো কাভার্ড ভ্যানে সিএনজির ধাক্কা নিহত-১ আহত-৪ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গণধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী আটক সলঙ্গা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সিভি জমা দিলেন সোহেল রানা সিরাজগঞ্জে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উপকরণ বকনা বাছুর বিতরণ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ্যাডঃ ইকবাল হোসেন মামুন! এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ গাজীপুরে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা বেড়ায় বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় গাজীপুরে ট্রাক চাপায় রিকশা চালকের মৃত্যু  গাজীপুরে ৩ ঘন্টার চেষ্টায় তুলার গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

এন এ জোহা,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দূর্নীতির কাছে জিম্মি শিক্ষক সমাজ

কলমের বার্তা / ২৭৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। দুর্নীতিবাজরাই সমাজ ও দেশের উন্নয়নে এখন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শিক্ষা খাতে দুর্নীতি হচ্ছে একটু বেশি। শিক্ষা খাতের শিক্ষাগুরুদের এখন নীতি নেই; অনিয়মে ঢাকা পড়েছে সব রীতিনীতি। শিক্ষা কর্মকর্তা, বড় একটা জায়গা দখল করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের কাছে তাঁরা যেন দেবতুল্য। শিক্ষার তাহলে অবশিষ্ট আর কিছু থাকে না।

অনিয়ম আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(এ কে এম হারুণ- উর রশিদ)। শিক্ষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন কিছু দুর্নীতিবাজ শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, উৎকোচ ছাড়া কোনো কাজ হয় না এ অফিসে। কোনভাবেই মিলছে না এর প্রতিকার। ধাপে ধাপে বাড়ছে তাদের উৎকোচ চাহিদা।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন-উর- রশিদ ও সহকারি শিক্ষা অফিসার বিপ্লব হাসান মদিনার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন অনিয়ম ও ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। টাকার বিনিময় তারা জুনিয়র শিক্ষক থেকে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি করে।

প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী, নুরেহিনা আক্তার, মাছুমা খাতুন, হাসিনা বেগম, আইয়ুব হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, শিরিনা বেগম, আমজাদ আলী, সহকারি শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসসহ অনেকেই অভিযোগ করেন। পশ্চিম শিবরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পারের হাট খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোর্দ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাঠশালা পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ঘগোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ প্রায় ২০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রত্যয়নপত্র দেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা করে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ।

অফিস সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় উপজেলার ৯৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত বাবদ ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১কোটি ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই মেরামতের বরাদ্দকৃত টাকার সম্পন্ন কাজ না করে আংশিক কিছু কাজ দেখিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা বিভিন্ন ক্লাস্টারের সহকারি কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে ১০ হাজার হতে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিচ্ছে। কাজের মেয়াদ জুন/২০২২ খ্রিঃ তারিখের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজ শেষ করে বিল ভাউচার জমা দিলেও তাদের টাকা ছাড়া বিলের চেক দিচ্ছে না উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন- উর-রশিদ। বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়গুলোতে উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে বিল চেক দেয়ার কথা।

এদিকে শিক্ষকরা জানান, মেরামতসহ বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করে বিল তুলতে গেলে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে মর্মে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হয় এবং কাজের মান যাচাই বাছাই না করে টাকা বিনিময় প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছে উক্ত অফিসের কর্মকর্তারাই। আর এই প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে অফিসকে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পযর্ন্ত ঘুষ দিতে হচ্ছে। আর অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন-উর-রশিদ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই শিক্ষা অফিসকে দুর্নীতি-অনিয়ম-ঘুষ বাণিজ্যের আখড়ায় পরিণত করেছেন।

এ বিষয়ে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিপ্লব হাসান মদিনার কাছে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আপনি কল রেকর্ড চালু করে আমার সঙ্গে ফাজলামো চোদান। আপনি বেয়াদবি করেছেন বলে ফোনটা কেটে দেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম হারুন -উর-রশিদ জানান, মেরামত বা সংস্কারের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন করছি এবং নিবির পর্যবেক্ষণে কাজগুলো সম্পন্ন করি। তিনি আরও জানান, প্রকল্পের কাজের কোন শিক্ষকের কাছে থেকে আমি টাকা নেইনি।

89


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর