শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে চীনা প্রকৌশলীর মৃত্যু,আহত ৬ বাংলাদেশী কোনাবাড়ীতে অটোরিক্সার চাপায় ৩ বছরের শিশু মৃত্যু দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে ২ মে আপাতত মার্জারে যাচ্ছে ১০ ব্যাংক, এর বাইরে নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক রাজধানীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন খালির নির্দেশ চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.১ শতাংশ কৃচ্ছ্রসাধনে আগামী বাজেটেও থোক বরাদ্দ থাকছে না নতুন যোগ হচ্ছে ২০ লাখ দরিদ্র প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি জামায়াত নেতারাও কিস্তির সময় পার হলেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ঋণ লালমনিরহাটে বরেন্দ্র সেচ পাম্পের পিলার ভেঙে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু! বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ১২ দিনে এলো ৮৭ কোটি ডলার লালমনিরহাটে বাংলাদেশি এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ ম্যানেজারকে বেঁধে রেখে টাকা দোকানের চাবি ছিনতাইয়ের অভিযোগ! কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কোনাবাড়িতে অটো‌রিক্সা চালককে পি‌টিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার -২ বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ পথচলা হয়ে উঠুক আরো শক্তিশালী বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা: ওবায়দুল কাদের

আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

কলমের বার্তা / ১৫১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে। গতকাল সকালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে গণভবনে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে (ষড়যন্ত্র) করেছে। আবার ইলেকশন যতই সামনে আসছে, আবারও… মানে শেখ হাসিনাকে সরাতে হবে। তাদের কী লাভ হবে জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের তো ক্ষতিই হবে। তিনি বলেন, ঘাতকরা একসময় আমাদের বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করত। যে জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই বাঙালি হয়ে কীভাবে ঘাতকরা জাতির পিতার বুকে গুলি চালিয়েছিল! বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা রেডক্রস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মানবতার কল্যাণে সেবা করার জন্য। ’৭৫-এ জাতির পিতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার পর সেই রেডক্রসেরই একটুকরা কাপড় কাফন বানিয়ে তাঁকে দাফন করা হয়েছিল।

তাঁর বিরুদ্ধে সব সময় একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমনটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে রাসেলকে পর্যন্ত খুন করল, সেই পরিবার থেকে আমি বেঁচে এসে সরকারে আসলাম। সাফল্য এনে দিলাম। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিলাম। এটা তো অনেকেই পছন্দ করবে না। কাজেই তারা তৎপর আছে সারাক্ষণই। আমি জানি, তাদের তৎপরতা অনেক বেশি। তবে যারা এ তৎপরতা চালাচ্ছেন, তাদের কার কী সে খবরও আমি রাখি। চিনি তো। আমার তো অচেনা কেউ নেই। তাদের বিষয়ও আমার জানা আছে। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা তো এক একটা জিনিস টার্গেট করে কাজ করছি। যেমন কেউ ভূমিহীন থাকবে না। এটা জাতির পিতা শুরু করেছিলেন নোয়াখালী থেকে। আমি সেই দায়িত্বটা পালন করে যাচ্ছি। প্রত্যেক ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম। কিন্তু জ্বালানিসহ সবকিছুর দাম এত বেড়ে গেছে, এ কারণে আমাদের সাশ্রয়। কেবল আমরা না, সমগ্র ইউরোপ থেকে শুরু করে সব দেশে, এমনকি আমেরিকাও এখন জ্বালানি সাশ্রয় করে। আমরা আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে ভবিষ্যতে আবার বিপদে না পড়তে হয়। তিনি বলেন, আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কাজ করেনি। অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করে, তারা ক্ষমতার চেয়ারটা কীভাবে দখল করে রাখবে ওই চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। আমাদের কাছে এটা কোনো বড় বিষয় নয়। ক্ষমতাটা আমার কাছে জনগণের সেবা করার একটা সুযোগ। তো ক্ষমতা থাকলে আছে, না থাকলে নাই। থাকলে যেটা সুবিধা হয়, দেশের মানুষের জন্য কাজ করার একটা সুযোগ পাই। আর সেই সুযোগটা যতটুকু পারি কাজে লাগাই। আমি সেভাবেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আবার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একেবাবে তৃণমূল মানুষের উন্নতি ও তাদের পরিবর্তনে কাজ করছি। ওইভাবে কিন্তু আমাদের যাত্রা শুরু করেছি। গ্রামের সাধারণ গরিব মানুষগুলো, তাদের জন্য আমার বাবা সারা জীবন কষ্ট করেছেন। কত অত্যাচার সহ্য করেছেন। জেল খেটেছেন। তাঁকে ফাঁসি দিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। তিনি কিন্তু এই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন। আর সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।

আবেগাপ্লুত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট যারা মারা গেছেন, তাঁদের তো কাফন-দাফন কিছু হয়নি। কিন্তু আব্বার লাশটা যখন টুঙ্গিপাড়া নিয়ে গেছেন, তারা কোনোমতে কবর খুঁড়ে মাটিচাপা দিয়েই চলে আসবে। যেহেতু আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব, উনারা সবাই বলেন যে, আপনারা যদি মনে করেন শহীদী মৃত্যু, তাহলে ওভাবেই দিতে পারেন। তবে মুসলমানের লাশ, এটা তো একটু কাফন-দাফন দিতে হবে। সব এলাকায় কার্ফু ছিল। সব বন্ধ। টুঙ্গিপাড়ায় তখন কোনো দোকান ছিল না। যেতে হতো সেই পাটগাতী বাজারে। তখন রেডক্রসের যে কাপড় তিনি (বঙ্গবন্ধু) সাধারণ মানুষদের বিলাতেন, ওই কাপড় নিয়ে এসে তার পাড় ছিঁড়ে, সেটাই কিন্তু তিনি নিয়ে গেছেন। আর কিছু নেননি মানুষের কাছ থেকে। আর কিছুই নেননি। সেই রেডক্রসের কাপড় নিয়েই ওনার কাফন। এটা হলো বাস্তবতা। আমাদের আর যারা মারা গেছেন, তাদের তো কিছুই করা হয়নি। যে যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় বনানী কবরস্থানে মাটি দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয় করতে হবে। এক ইঞ্চি জমি যাতে অনাবাদি না থাকে, সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। কারণ, একে তো করোনা, সেই সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। তারপর এই স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশন। এই স্যাংশনের পরে তো সব জিনিসের দাম বাড়ছে। আমি জানি না, কারা লাভবান হচ্ছে এই যুদ্ধে। লাভবান হচ্ছে শুধু অস্ত্র যারা উৎপাদন করে। আর মরতেছে সাধারণ মানুষ। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে আজ কী মানবতার জীবন! শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন পড়ে না থাকে। একটা মরিচ গাছ লাগিয়ে খেলেও তো কাজে লাগে। এটা ঠিক আমাদের সবাই এটা করছে। এটা সবাইকে করতে হবে। খাদ্যটা যদি নিজে উৎপাদন করে ঠিক রাখতে পারি, তাহলে আমাদের পরমুখাপেক্ষী হতে হবে না। সেটা আমাদের সব থেকে বেশি কাজে লাগবে। তিনি বলেন, আমরা কেবল উঠে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে প্রথম এলো করোনা। তারপর যুদ্ধ। এরপর স্যাংশন। যার জন্য আজকে সারা বিশ্বই অত্যন্ত একটা দুঃসময়ের মধ্যে যাচ্ছে। তার পরও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। ১ কোটি মানুষকে আমরা স্বল্পমূল্যে খাবার দিচ্ছি। কোনো মানুষ যেন কষ্টে না থাকে, সেটা আমাদের চেষ্টা।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে ভাইস চেয়ারম্যান নূরুর রহমান, ট্রেজারার এম এ সালাম, মহাসচিব কাজী সফিকুল আজম, আরমা দত্ত এমপি, এম মঞ্জুরুল ইসলামসহ অন্য বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

85


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর