আসামীর জামিন না মঞ্জুর খবরে পিপিকে হেনেস্তা

মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলা সংক্রান্ত ঘটনার জেরে আসামি পক্ষের লোকজন কর্তৃক কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড বজলুর রশিদ কে হেনেস্তা ও সহকারী আব্দুল সালামকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড বজলুর রশিদ।
প্রত্যাক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এ্যাড ফখরুল ইসলাম,গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রাম জজ কোর্ট আদালতের পিপির অফিস কক্ষে ঢুকে অজ্ঞাত ১৫/২০ জন লোক পিপিকে মারধর ও হেনেস্তা করে ।এসময় পিপির চেম্বারে থাকা টেবিল গ্লাস ভাঙচুর করে সহকারিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ খবরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
পরে লোকমুখে জানতে পারি উলিপুরে থানার সামনে যুব দল নেতা আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় আসামিদের জামিন করতে পিপির সাথে ১ লাখ টাকা লেনদেন হয়। ঘটনার দিন ওই মামলার তারিখ ছিল। নির্ধারিত সময় আসামীগণ এজলাসে উঠলে বিজ্ঞ আদালত বিবাদীদের মধ্যে ৪ জনকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি পক্ষের লোকজন পিপির উপর এমন হামলা ও হেনস্তা করে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড বজলুর রশিদ বলেন, আমার অফিসে টেবিলের গ্লাস ভেঙেছে ওয়েট পেপারের আঘাতে। কোন প্রকার হামলা ও মারধর ঘটনা ঘটে নাই। ওরা (আসামি পক্ষের লোকজন) আমাদের দলের লোকজন। সৌজন্য সাক্ষাৎতের জন্য এসেছিল। মারধরের বিষয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করলে তিনি বলেন,মারধর হয়েছে এমনটা না।মামলায় নিজেদের লোকজন জামিন না পাওয়ায় একটু আধটু রাগ তো করবেই। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। আদালতে এত রেস্টিকশনের ভিতর কারো হামলা করার সাহস আছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ জানান,জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে আসামি পক্ষ ও পিপির মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাই নাই বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য,গত ২৭ শে ডিসেম্বর ২৪ ইং সন্ধ্যায় উলিপুর থানার রোডে প্রতি পক্ষের হামলায় পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ আশরাফুল ইসলামের নিহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ আয়নাল হক বাদী হয়ে ২৮ ডিসেম্বর/২৪ উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং-জি আর ৩৭১/২০২৪।