শিরোনামঃ
ঝিকরগাছায় পেপারভর্তি কাভার্ডভ্যান থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার, আটক ১ গাজীপুরে ৩ উপজেলায় বিজয়ী হলেন যারা উল্লাপাড়ায় সিএনজিচালিতঅটোরিকশার সাথে পিক-আাপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ ২ জন নিহত বেনাপোলে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড কাজিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে খলিলুর রহমান পুনরায় বিজয়ী বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় আমিরাত জুনের মধ্যে ৭০ ভাগ ধান-চাল সংগ্রহের নির্দেশ পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ॥ দাম কমছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, বললেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ল শেয়ার বাজারে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১১শ কোটি টাকা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের জন্য আরো তহবিল সংগ্রহ করুন সলঙ্গায় মাদ্রাসার শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন বেতাগীতে রেডক্রিসেন্ট দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় আমিরাত জুনের মধ্যে ৭০ ভাগ ধান-চাল সংগ্রহের নির্দেশ

এ পর্যন্ত স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন ২৯ গুণী নারী

কলমের বার্তা / ৭০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩

স্বাধীনতার ছয় বছর পর ১৯৭৭ সালে প্রবর্তিত দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ এ পর্যন্ত (২০২২ সাল) পেয়েছেন ৩শ’ ব্যক্তি এবং ২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একজন অনাগ্রহ প্রকাশ করে এই পদক গ্রহণ করেননি। এছাড়া একাধিক ব্যক্তির পদক বিভিন্ন কারণে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের পদকপ্রাপ্তদের নাম এখনো পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি।

এদিকে, সব কিছু বাদ দিয়ে এ পর্যন্ত ‘স্বাধীনতা পদক’ পেয়েছেন ২৯ গুণী নারী। এর মধ্যে সংস্কৃতিতে ৭, সমাজসেবায় ৭, সাহিত্যে ৫, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ৫, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ১, জনসেবায় ১, ক্রীড়া ও খেলাধুলায় ১, পলস্নী উন্নয়নে ১ এবং গবেষণায় ১ জন নারী।

জানা গেছে, দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক যেসব নারী পেয়েছেন তারা হলেন- ১৯৭৭ সালে সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে (সঙ্গীত) রুনা লায়লা, ১৯৭৯ সালে সঙ্গীতে ফিরোজা বেগম, ১৯৮১ সালে সমাজসেবায় তাহেরা কবির ও সামসুন নাহার মাহমুদ, ১৯৮২ সালে সমাজসেবায় ফিরোজা বারী, ১৯৯৩ সালে পলস্নী উন্নয়নে জাহানারা বেগম, ১৯৯৫ সালে সঙ্গীতে ফেরদৌসী রহমান ও সমাজসেবায় সৈয়দা ইকবাল মাহমুদ মান্দ বানু, ১৯৯৬ সালে সঙ্গীতে সাবিনা ইয়াসমিন, ১৯৯৭ সালে সমাজসেবা ও সাহিত্যে যথাক্রমে জাহানারা ইমাম এবং কবি সুফিয়া কামাল।

সূত্র জানিয়েছে, ১৯৯৮ সালে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ১৯৯৯ সালে সমাজসেবায় এই পদক পেয়েছেন বেগম বদরুন্নেছা আহমদ, ২০০০ সালে ক্রীড়া ও খেলাধুলায় শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকী, ২০০১ সালে সাহিত্যে সৈয়দা মোতাহেরা বানু, ২০০৪ সালে জনসেবায় মিস ভেলেরি এ টেইলর, ২০০৯ সালে সমাজসেবায় আইভি রহমান, ২০১০ সালে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে বেগম সাজেদা চৌধুরী, সাহিত্যে রোমেনা আফাজ এবং সংস্কৃতিতে (ভাস্কর্য) পদকটি পেয়েছেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র আরও জানায়, ২০১১ সালে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন নীলিমা ইব্রাহিম, ২০১২ সালে একই ক্যাটাগরিতে ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, ২০১৬ সালে সঙ্গীতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে সাহিত্যে রাবেয়া খাতুন এবং সেলিনা হোসেন। ২০১৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় কাজী মেজবাহুন নাহার, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ক্যাটাগরিতে হাসিনা খান ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম। ২০২০ সালে সংস্কৃতিতে (অভিনয়) পুরস্কারটি পেয়েছেন ফেরদৌসী মজুমদার। তবে ২০২১ এবং ২০২২ সালে কোনো নারী স্বাধীনতা পুরস্কার পাননি।

জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার বা স্বাধীনতা পুরস্কার বা স্বাধীনতা পদক বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে (২৬ মার্চ) এই পদক প্রদান হয়ে আসছে। জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে এই পুরস্কার প্রদান করে সরকার। ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উলেস্নখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তদের একটি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ নির্মিত ৫০ গ্রাম ওজনের পদক, একটি সম্মাননাসূচক প্রত্যয়নপত্র এবং সম্মাননা স্বরূপ নির্দিষ্ট অঙ্কের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। প্রাথমিকভাবে প্রদানকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার টাকা। ২০১৩ সাল থেকে ২ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে এটি ২০১৭ সালের মে মাসে ৩ লাখ এবং ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়।

76


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর