সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
গরমে পুড়ছে যশোর বেনাপোলে ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কাজিপুরে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রাথমিকের বই বিদ্যালয়ের বিক্রি  ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কলেজে ভাংচুর ও লুটপাটের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আ.লীগ নেতা কর্তৃক বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ৬৫ বছর পর মসজিদের সম্পত্তি উদ্ধার উল্লাপাড়ায় গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ ৫ জন গ্রেফতার বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকা’র সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও নতুন কমিটির অভিষেক সলঙ্গায় মসজিদ কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কাজিপুরে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রাথমিকের বই বিদ্যালয়ের বিক্রি 

রিপোর্টারের নাম : / ১১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই বিধিবহির্ভূতভাবে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকের এসব বই কেজি দরে হকারের নিকট বিক্রির বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেবার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে, (২৭ এপ্রিল) রোববার সকালে উপজেলার বেড়িপোটল বাসস্ট্যান্ডে ক্রেতাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় থেকে ৫ম শ্রেণীর বিভিন্ন বিষয়ের ২০২৪ সালে মুদ্রিত বস্তাভরা বই পাওয়া যায়। এসময় পুরোনো বই ক্রেতা হারান মিয়া বলেন, পার্শ্ববর্তী বেড়িপোটল পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে মোট ৩০ কেজি পুরাতন বই কিনেছেন তিনি।

এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, পুরাতন বই আগেও আমরা এভাবেই বিক্রি করেছি। কোন সমস্যা হয়নি।

বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রায়হানুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের ব্যবহৃত পুরাতন বই বিক্রি করেছি। তবে এ সংক্রান্ত বিধিবিধান আমার জানা নেই। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও বেড়িপোটল পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, বই বিক্রির বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে নতুন বইয়ের সংকট থাকলে পুরাতন বই বিতরণ করতে হবে। পুরাতন বই কমপক্ষে দুই বছর বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। বই বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিমালা রয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনুমোদন ও রেজুলেশন ছাড়া পুরোনো বই বিক্রি করা যাবে না। আলমপুর গ্রামের একজন অভিভাবক আবেদুর রহমান বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। শিক্ষকরা নিয়ম জানে না। এটা কেমন কথা? তাহলে তো শিক্ষার্থীরা নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে যা জাতির জন্য মোটেও সুখকর নয়।

কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, এ রকমটি হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর