কোনাবাড়ীতে বাসে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় পলাতক আসামি গ্রেফতার

গাজীপুরের কোনাবাড়ী বাইমাইল সাইনবোর্ড এলাকায় আজমেরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাসে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পলাতক আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম। শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোনাবাড়ী কাঁচাবাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হলেন,মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন পূর্ব এনায়েতপুর গোবিন্দবাড়ী এলাকার মোঃ আল-আমিন এর ছেলে মোঃ শাকিল হোসেন (২৭)।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকা থেকে শাহেদ আলী (১৯) ও কামরুল ইসলাম (১৭) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
উল্লেখ্য গেল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যার পর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং বাসষ্টেশন থেকে আজমেরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৯৯২৪) কোনাবাড়ী নিজ বাসায় যাওয়ার জন্য উঠেন।
এসময় আজমেরি বাসটি চালিয়ে আসছিলেন চালক মোঃ বাচ্ছু মিয়া। তার পাশে বসেছিলেন অপর চালক শাকিল হোসেন। আজমেরি পরিবহনের এ বাসটি গাজীপুরের হারিকেন নামক এলাকায় এসে যানজটে পড়েন। এসময় যানজটে আটকা পড়ে কয়েক ঘন্টা কেটে যায়। বাসে থাকা অন্য যাত্রীরা নেমে নিজ গন্তব্যে চলে গেলেও ওই নারী যাত্রী বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় বাসেই রয়ে যান।
এসময় ওই যাত্রীবাহি বাসে দুই চালক ও দুই হেলপার আর এক নারী যাত্রী ছিলেন। বাসটি রাত নয়টার দিকে বাইমাইল এলাকায় এসে একটি নির্জন স্থানে থামিয়ে নারী যাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন চালক বাচ্ছু মিয়া ও শাকিল।
পরে গাজীপুর বাইবাস এলাকা থেকে হেলপার শাহেদ আলীকে বাসটি চালিয়ে চন্দ্রা যাওয়ার জন্য বললে শাহেদ বাসটি ধীরে ধীরে চন্দ্রার দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। এসময় দুই বাস চালক নারী যাত্রীর শরীরে স্পর্শ করলে নারী যাত্রী চিৎকার করার চেস্টা করলে তার হাতের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ধারণ করে।
রাত নয়টা দিকে বাস চালক বাচ্ছু মিয়া কোনাবাড়ী ফ্লাওভারের পশ্চিম পাশে নামিয়ে দিয়ে বাসটি নিয়ে চন্দ্রা এলাকায় চলে যায়। ওই নারী যাত্রী কোনাবাড়ীর নিজ বাসায় গিয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানালে স্বজনরা নারী যাত্রীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই কোনাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান,পলাতক আসামি বাচ্চুকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।