মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ইট ভাটার পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার জয়পুরহাটে জাকের পার্টির ঈদের নামাজ ও উন্মুক্ত খাবার পরিবেশন  শার্শায় ঈদের জামাতের সময় পরিবর্তন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত-৩ এবারই প্রথম ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুত বেনাপোল বলফিল্ড ময়দান কুড়িগ্রামে সাংবাদিকতার আড়ালে ফ্যাসিস্টদের সংঘটিত করার অপচেষ্টা সুন্দরগঞ্জে যতটুকু পারি সংগঠন এর ঈদ সামগ্রী বিতরণ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় ইফতার ও দুআ মাহফিল অনুষ্ঠিত বেড়ায় একতা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ঈদ সামগ্রী বিতরণ কুড়িগ্রামে ব্যবসায়িক লেনদেনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে কালবেলার সাংবাদিকের নামে ভূয়া সংবাদ পরিবেশন সাংবাদিক মন্জুর ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের পাশে এমপি প্রার্থী আইউবী

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কারিকুলাম পরিমার্জনে গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন- উপাচার্য ড.মশিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুরঃ / ১৩৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩

দক্ষতাভিত্তিক, কর্মমুখি এবং বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে মিল রেখে কারিকুলাম প্রণয়নের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণে দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালা শেষ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার সায়েন্স ল্যাবে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার শেষ দিনে টেকনিক্যাল সেশন হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড.পবিত্র সরকার। কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশনে দেশি-বিদেশি বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষাবিদগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রাণবন্ত শ্রেণিকক্ষ গড়ে তোলাই নতুন কারিকুলামের লক্ষ্য জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কারিকুলাম পরিমার্জনে গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন। দেশে বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে তারা বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণে কাজ করেছেন। তবে জাতীয় পর্যায়ে দুইদিনের এই আলোচনার সারকথা ধরে আমরা সামনে এগোতে চাই। এ কর্মশালায় অত্যন্ত সমৃদ্ধ আলোচনা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা, সম্ভাবনা এবং করণীয় সবকিছুই উঠে এসেছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞবৃন্দের পরামর্শই আমাদের আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে সেগুলোকে অতিক্রম করে সঠিক জায়গায় আনার মধ্য দিয়ে মূলত জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার একটি পথে আমরা এগোচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার মধ্য দিয়ে ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলার যে দৃঢ় প্রকল্পে আছি- এর মধ্যে মূলত দেশ গড়ার একটি অভিপ্রায় আমাদের আছে।’
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষককে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশার শ্রেষ্ঠত্ব, অনিন্দ সৌন্দর্য আপনারা সবাই জানেন। শিক্ষকতা চাকরি নয়, এটি একটি মহত্ত্ব, আদর্শ, একটি পবিত্রতম কাজ। সকল ধর্মের সেরা চিন্তার শুভ দিকটি উন্মোচিত করে এই পেশা। আমি মনে করি, আপনারা যারা এই পেশায় আছেন তাদের গৌরব করার অনেক কিছুই আছে। ১৯৭১ সালে যে মহান শিক্ষকবৃন্দ শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। যেসব শিক্ষকরা ক্লাশ রুমে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে পাঠদান করছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।’
দুইদিনব্যাপী এ কর্মশালায় ৩৭টি বিষয়ে দেশি-বিদেশি প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও গবেষকগণ তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ধীমান কুমার চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষকগণ।
বিদেশি গবেষক ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে রয়েছেন ভাষাবিজ্ঞানী ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলা ওয়াল্ড ওয়াইল্ড এর সভাপতি মন্ডলীর সদস্য প্রফেসর পবিত্র সরকার, কলকাতা নেতাজি সুভাষ বসু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মনিমালা দাস, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি সাবেক উপাচার্য প্রফেসর অশোক রঞ্জন ঠাকুর, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট এর সাবেক সচিব সত্যব্রত দাস, কলকাতা জেআইএস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান সৌভিক চ্যাটার্জী, জেআইএস বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান ডঃ ধর্মপাল শিং, আরো উপস্থিত ছিলেন সৌম্যব্রত দাস, অর্পিতা কোনজিলাল, অরুনিমা ধর, ডাঃ দুলাল বসু ,ডাঃ শিবাজি বসু, ডঃ জয়দেব ভট্টাচার্য প্রমূখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর