প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর ফলপ্রসূ
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। এই সফরের ফলাফলের ভিশন ভবিষ্যৎমুখী পথনির্দেশনা। এ সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যে ভিশন ডকুমেন্ট দিয়েছেন তাতে ভবিষ্যতে দু’দেশের অংশীদারত্বের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে আসা সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন। ভারতীয় হাইকমিশন কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাবের সদস্যদের দুই পর্বে ভারতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম পর্বে ২০ জন সদস্য প্রশিক্ষণ শেষে ফিরেছেন। অবশিষ্ট ১৯ জন সদস্য জুলাই মাসে প্রশিক্ষণ নিতে ভারত সফর করবেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথাগত দীর্ঘ যৌথ বিবৃতি কিংবা ইশতেহার পরিহার করে তুলানামূলক সংক্ষিপ্ত ‘শেয়ার্ড ভিশন ফর ফিউচার’ দিয়েছেন। এখানে সুস্পষ্ট যে দিকনির্দেশনা রয়েছে সেটাকে তিনটি ‘সি’ দিয়ে বর্ণনা করা যায়। এই তিন ‘সি’ হলো, কানেকটিভিটি, কমার্স এবং কলাবোরেশন। কানেকটিভিটি উভয় দেশের জন্যে লাভজনক। কানেকটিভিটির আওতায় রেল নেটওয়ার্কে বাংলাদেশি পণ্য নেপাল ও ভুটানে পরিবহণের করতে ট্রানজিট দেবে ভারত। বাণিজ্য জোরদার হবে। কলাবোরেশন বৃহত্তর আঙ্গিকে হবে।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে। নতুন ভিশন ডকুমেন্টে তথ্য প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা, সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। ভারতের রয়েছে প্রতিবেশীবান্ধব নীতি যেমন রয়েছে। প্রতিবেশীর মধ্যে আবার বাংলাদেশ প্রথম। অনুষ্ঠানে ডিকাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব এবং সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপুও বক্তৃতা করেন। ডিকাব নেতারা সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় ভারতীয় হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, পেশাগত কাজে এ প্রশিক্ষণ খুবই উপকারী।