শিরোনামঃ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যশোরর শার্শা উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ সংবাদ প্রকাশের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মমিনুর দম্পতির শোকজের ঘটনায় তদন্ত শুরু! গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত-৪ গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত-৪ অবশেষে কারা মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক সেনা সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন তাপদাহ উপেক্ষা করে ফসল কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকরা এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ বেতাগীতে তীব্র গরমে তৃষ্ণার্তদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও শরবত বিতরণ  হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তরিত করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিকজোট বাংলাদেশ এর র‍্যালী ও আলোচনাসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির ধান উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার যতবার সরকারে এসেছি শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

বিআরটি প্রকল্পের দুই প্রান্ত যুক্ত হলো ১১ বছর পর

কলমের বার্তা / ৭২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

ঈদুল আজহা সামনে রেখে খুলে দেওয়া হয়েছে বাস চলাচলের বিশেষায়িত পথ বিআরটি প্রকল্পের উড়ালপথের দুই লেন। চার লেনের এই উড়ালপথের আংশিক এর আগেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটির এই প্রকল্পকে খোদ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভোগান্তির প্রকল্প বলে মন্তব্য করেছিলেন। কারণ প্রায় ১১ বছর ধরে ব্যস্ত রাস্তার ওপর চলছে এই বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ।

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে ২০.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথের কাজ শেষ হবে। সড়কের সাড়ে চার কিলোমিটারে রয়েছে ছয়টি উড়ালপথ। এই পথের সাড়ে তিন কিলোমিটার ছয় লেন এবং এক কিলোমিটার দুই লেনের। সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, উড়ালপথের সার্বিক কাজ হয়েছে ৯৬.১৪ শতাংশ।

বিআরটিএই উড়ালপথের মাঝের দুই লেনে চলবে বিআরটির বিশেষায়িত বাস। প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ২০ থেকে ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে বিশেষায়িত বাসে। আর পাশের দুই লেনে সাধারণ যানবাহন চলাচল করবে। আগামী অক্টোবরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

গতকাল শুক্রবার টঙ্গীর কলেজগেট থেকে হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উড়ালপথের দুই লেন দিয়ে যান চলাচল করছে। কয়েকটি জায়গায় নির্মাণকাজও চলছে। ছোট-বড় গণপরিবহনের পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাকও চলতে দেওয়া হচ্ছে এই উড়ালপথ দিয়ে। তবে পশুবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়নি।

ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গত ১৫ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে বৈঠক করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওই বৈঠকে প্রথমবারের মতো পুরো উড়ালপথে যান চলাচলের ইঙ্গিত দেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিআরটির উড়ালপথ অংশের সব ধরনের কাজ প্রায় শেষ। আমরা চেষ্টা করছি যেন ঈদের আগে এই পথের দুই লেন খুলে দেওয়া যায়। তাহলে ঈদের যাতায়াত অনেকটা সহজ হবে।’

বিআরটি লেন নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল দুই হাজার ৪০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। সে সময় প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৬৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এরপর আরেক দফায় ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। ওই বাড়তি মেয়াদেও কাজ শেষ না হওয়ায় আবার সময় বাড়ানো হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। ওই সময় ব্যয় বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হয়নি।

গত শনিবার টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় প্রকল্পের একটি উড়ালপথ পরিদর্শন করেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, গত রমজানের ঈদের আগে এই প্রকল্পের একটি উড়ালপথের দুই লেন খুলে দেওয়া হয়েছিল। খুব বেশি ভোগান্তির কারণ হতে পারে এমন সাড়ে চার কিলোমিটার উড়াল অংশ কোরবানির ঈদের আগে খুলে দেওয়া হতে পারে। তাতে মানুষের আগের মতো ভোগান্তি হবে না।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকার বিমানবন্দরসংলগ্ন উড়াল সেতু, জসীমউদদীন উড়াল সেতু, হাউস বিল্ডিং থেকে স্টেশন পর্যন্ত নির্মিত উড়াল সেতু, টঙ্গী উড়াল সেতু এবং গাজীপুরের চান্দনায় অবস্থিত উড়াল সেতুতে যান চলাচল করছে।

জানতে চাইলে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, পুরো প্রকল্পের ৯০ শতাংশের কিছু বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ঈদ যাত্রা আরামদায়ক করতে উড়ালপথের দুই লেন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

বিআরটি লেনের উভয় দিকে দুটি করে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক হালকা যান চলার লেন, একটি করে অযান্ত্রিক যান চলাচলের লেন বা সার্ভিস লেন এবং উভয় পাশে ফুটপাত থাকবে। এতে ছয়টি উড়াল স্টেশন থাকবে। ১০ লেনবিশিষ্ট টঙ্গী সেতুও এই প্রকল্পের অংশ।

এই প্রকল্পের অধীনে ৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ১১৩টি সংযোগ সড়কও উন্নয়ন করা হচ্ছে। পুরো পথে ২৫টি স্টপেজ থাকবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নালা নির্মাণ করা হচ্ছে।

90


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর