বেনাপোলে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার একটি হত্যা, অপরটি অপমৃত্যু মামলা, কেউ আটক নেই

বেনাপোল পোর্ট থানা বাহাদুরপুর ইউনিয়ন রঘুনাথপুর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি হত্যা ও অপরটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এরমধ্যে স্ত্রী হত্যাকান্ডের শিকার এটা নিশ্চিত হয়ে পুলিশ মামলা রেকর্ড করেছে। আর স্বামীর মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় অপমৃত্যু মামলা গ্রহন করা হয়েছে। তবে দুটি ঘটনারই জোরালো তদন্ত চলছে বলে দাবি করেছেন বেনাপোল থানার অফিসার ইনচার্জ রাসেল মিয়া।
এছাড়া দু’টিই পরিকল্পিত হত্যাকান্ড কিনা, বা স্বামী আসলেই আত্মহত্যা করেছেন কিনা এ রহস্য উদঘাটনে পিবিআই যশোর ছায়া তদন্ত চলিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন।
এটি পরিকল্পিত জোড়া হত্যাকান্ড, না কি মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ, সে রহস্য নিয়ে এলাকায় যে নানামুখি বক্তব্য প্রচার হচ্ছে তা নিয়েও কাজ করছেন পুলিশের তদন্ত টিম।
১৪ জুন ভোর ৬ টার দিকে রঘুনাথপুরের লোকজন মনিরুজ্জামানের (৫২) মরদেহ বাড়ির উঠোনের গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং স্ত্রী রেহানা খাতুনের (৪৫) মরদেহ বাড়ির পাশের মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন। মনিরুজ্জামানের পিঠে মাটির আবরণ লেপ্টে ছিল। বাইরে কোথাও থেকে টেনে হেঁচড়ে আনা হয়েছে এমনটি ধারণা করেন স্থানীয়রা। এছাড়া ঝুলন্ত মরদেহটি হাটু গাড়া অবস্থায় থাকায় তা আত্মহত্যার কোনো সিমটমে পড়ে না বলেও মরদেহ উদ্ধারের দিন মন্তব্য করেন অনেকে।
এটা পরিকল্পিত জোড়া হত্যাকান্ড নাকি মৃত্যু রহস্য অন্য কিছু তা নিয়ে এলাকায় মানুষের মধ্যে ননা প্রশ্ন ঘুরপাত খাচ্ছে। ভুক্তভোগী দম্পতির মেয়ে মনিরা (৩০) ও ছেলে মাসুদের (১৮) দাবি, তাদের বাবা-মা আত্মহত্যা করেননি। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা দ্রুত হত্যা রহস্য উন্মোচন ও ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আটক দাবি করেন। সেই আলোকে মাঠে নামে পিবিআই যশোরের একটি চৌকস টিম।
এদিকে গতকাল পর্যন্ত জোড়া মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় নানামুখি অভিযান ও তদন্ত চললেও কেউ আটক হয়নি।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ রাসেল মিয়া আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, স্ত্রী রেহেনা খাতুনকে হত্যা করা হয়েছে এটা অনেকটা পরিস্কার, যে কারণে হত্যা মামলা গ্রহন করা হয়েছে। আসামি অজ্ঞাত করে মৃতের মেয়ে মামলাটি করেছেন। এছাড়া স্বামী মনিরুজ্জমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় মৃত্যুটি রহস্যজনক। যে কারণে প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা দুটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানিয়েছেন বেনাপোলের জোড়া মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় ছায়া তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন পিবিআই। ওই ঘটনায় কেউ আটক কিংবা শনাক্ত হয়নি। দ্রুততম সময়ে এর ক্লু উদঘাটন সম্ভব হবে। থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই যশোরের কয়েকটি টিম মাঠে রয়েছে।